ফ্রান্সের কান সৈকতে গত ১৪ মে থেকে শুরু হয়েছে ৭২তম আন্তর্জাতিক কান চলচ্চিত্র উৎসব। এ উৎসব চলবে ২৫ মে পর্যন্ত। এবারের উৎসবে জুলিয়ান মুর, সেলেনা গোমেজসহ অনেক তারকাকে দেখা গেলেও সবার চোখ ছিল স্বর্ণকেশী আমেরিকান অভিনেত্রী এল ফ্যানিংয়ের দিকে। কারণ এবার কানের আসরে সবচেয়ে কমবয়সী বিচারকের আসনে বসেছেন তিনি।
আয়োজকদের কাছ থেকে মোবাইল ফোনে বিচারক হওয়ার আমন্ত্রণ পাওয়ার পর হতবাক হয়ে গিয়েছিলেন এল ফ্যানিং। কারণ ২০ বছর বয়স পার হতেই এত বড় সম্মান পাওয়ার কথা তিনি কখনো ভাবতেই পারেন নি। অকপটে এ বিষয়গুলো স্বীকার করেছেন তিনি। গতকাল এক সংবাদ সম্মেলনে এল ফ্যানিং বলেছেন, এখনও কিছুটা অবাক হচ্ছি ভেবে, কানের মূল প্রতিযোগিতা বিভাগের বিচারক হয়েছি। কারণ এখানে অসাধারণ শিল্পীদেরই মূলত দেখা যায়। তাই এটা আমার জন্য চমৎকার মুহূর্ত। তারুণ্যকে প্রতিনিধিত্ব করতে পেরে ও নবীন অভিনেত্রী হিসেবে বিচারকদের সঙ্গে নিজের মতামত ভাগাভাগির সুযোগ পেয়ে আমি সম্মানিত ও গর্বিত। এবারের প্রতিযোগিতা বিভাগের মূল বিচারক মেক্সিকান নির্মাতা আলেহান্দ্রো গঞ্জালেজ ইনারিতু। তার হাত ধরেই কান উৎসবের সঙ্গে এল ফ্যানিংয়ের সম্পৃক্ততা।
২০০৬ সালে প্রতিযোগিতা বিভাগে থাকা ‘বাবেল’ ছবিতে শিশুশিল্পী হিসেবে অভিনয় করেন তিনি। তখন তার বয়স ছিল মাত্র আট বছর। ২০১৬ সালে কানের প্রতিযোগিতা বিভাগে নির্বাচিত ডেনিশ নির্মাতা নিকোলাস উইন্ডিং রেফনের ‘দ্য নিয়ন ডেমন’ ছবিতে দেখা যায় এল ফ্যানিংকে। এর পরের বছর কানে পাম দ’রের দৌড়ে থাকা সোফিয়া কপোলার ‘দ্য বিগাইল্ড’ ছবিতে অভিনয় করেন তিনি। একই আসরে আউট অব কম্পিটিশনে দেখানো হয় তার ‘হাউ টু টক টু গার্লস অ্যাট পার্টিস’। ছবিটি পরিচালনা করেন আমেরিকান নির্মাতা জন ক্যামেরন মিচেল।
যুক্তরাষ্ট্রের জর্জিয়া অঙ্গরাজ্যে জন্ম এল ফ্যানিংয়ের। ইতোমধ্যে ৩০টিরও বেশি ছবিতে অভিনয় করেছেন তিনি। এ তালিকায় রয়েছে ‘সুপার এইট’ (২০১১), ‘মেলফিসেন্ট’ (২০১৪), ‘টোয়েন্টিয়েথ সেঞ্চুরি ওমেন’ (২০১৬) প্রভৃতি। এবার প্রতিযোগিতার বাইরে কিছু ছবিও আলোড়ন ফেলেছে। যেমন ভেরনার হেরজগের ‘ফ্যামিলি রোমান্স’, ‘এলএলসি’, ক্লদ লেলুশের ‘দ্য বেস্ট ইয়ার্স অব আওয়ার লাইভস’, আসিফ কাপাড়িয়ার ‘ডিয়াগো ম্যারাডোনা’ আর সংগীত কিংবদন্তি এলটন জনের জীবনী অবলম্বনে ডেক্সটার ফ্লেচার নির্মিত ছবি ‘রকেটম্যান’।