দুঃখজনক অভিজ্ঞতা নিয়ে অনুদান কমিটি থেকে পদত্যাগ করলেন চার জ্যেষ্ঠ সদস্য। গত রোববার ২০১৮-১৯ অর্থবছরের চলচ্চিত্র অনুদান কমিটির সভাপতি তথ্যমন্ত্রী হাছান মাহমুদ বরাবর পদত্যাগপত্র দিয়েছেন তারা।
দুঃখজনক অভিজ্ঞতা নিয়ে অনুদান কমিটি থেকে পদত্যাগ করলেন চার জ্যেষ্ঠ সদস্য। গত রোববার ২০১৮-১৯ অর্থবছরের চলচ্চিত্র অনুদান কমিটির সভাপতি তথ্যমন্ত্রী হাছান মাহমুদ বরাবর পদত্যাগপত্র দিয়েছেন তারা।
দুঃখজনক অভিজ্ঞতা নিয়ে অনুদান কমিটি থেকে পদত্যাগ করলেন চার জ্যেষ্ঠ সদস্য। গত রোববার ২০১৮-১৯ অর্থবছরের চলচ্চিত্র অনুদান কমিটির সভাপতি তথ্যমন্ত্রী হাছান মাহমুদ বরাবর পদত্যাগপত্র দিয়েছেন তারা।
এই সদস্যরা হলেন মামুনুর রশীদ, নাসির উদ্দিন ইউসুফ, মোরশেদুল ইসলাম ও মতিন রহমান।
চিঠিতে জানানো হয়, অনুদান কমিটি সদস্যদের সঙ্গে কোনো আলোচনা না করে, মন্ত্রণালয়ের একক সিদ্ধান্তে সভায় গৃহীত সিদ্ধান্তকে পরিবর্তন করে প্রজ্ঞাপন জারি করে।
চার সদস্যের স্বাক্ষর করা ওই চিঠিতে তারা লিখেছেন, ‘অনুদান কমিটির সদস্য হিসেবে আমাদের এর আগেও কাজ করার সুযোগ হয়েছে। কিন্তু এ ধরনের দুঃখজনক অভিজ্ঞতা আর কখনো হয়নি। এ অবস্থায় অনুদান কমিটির সদস্য হিসেবে থাকা আমাদের জন্য সম্মানজনক ও যুক্তিযুক্ত মনে না হওয়ায় আমরা চলচ্চিত্র অনুদান কমিটি থেকে পদত্যাগের সিদ্ধান্ত নিয়েছি।’
৭ এপ্রিল তথ্যমন্ত্রীর সভাপতিত্বে ২০১৮-১৯ সালের জন্য গঠিত চলচ্চিত্র অনুদান কমিটির সভায় দুটি প্রামাণ্যচিত্র, একটি শিশুতোষ ও পাঁচটি পূর্ণদৈর্ঘ্য কাহিনিচিত্রকে অনুদান দেয়ার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়।
মোরশেদুল ইসলাম জানান, অনুদান পাওয়া ছবিগুলোর মধ্যে এমন ছবিও আছে, যেটা একেবারে মানহীন ও তৃতীয় শ্রেণির। কমিটির সদস্যদের প্রায় সবাই সেই চিত্রনাট্যকে অনুদান না দেওয়ার ব্যাপারে মত দিয়েছিলেন। কিন্তু সেই সিদ্ধান্ত মানেনি মন্ত্রণালয়।
এত দিন নম্বরের ভিত্তিতে অনুদান দেয়া হলেও এ বছর কেন হলো না? মোরশেদুল ইসলাম বলেন, ‘বাছাই কমিটির নম্বরের ভিত্তিতেই যদি ছবিকে অনুদান দেয়া হয়, তাহলে অনুদান কমিটির আর কী দরকার। নম্বরের ব্যাপারে আমাদের আপত্তির জায়গাটা হচ্ছে, অনেক সময় প্রশ্ন ওঠে, বেশি নম্বর পেয়েও কেন ছবি অনুদান পায় না।’
এ বছর সবচেয়ে বেশি নম্বর পাওয়া প্রামাণ্যচিত্র ‘হীরালাল সেন’ অনুদান পায়নি কেন? মোরশেদুল ইসলাম বলেন, ‘ওটা একটা গবেষণা হয়েছে। সেটাকে চিত্রনাট্য বলা যাবে না। প্রথমে সেটি জমা পড়েছিল প্রামাণ্যচিত্র হিসেবে। আমরা ফেরত পাঠানোর পর আবারও জমা হলো ফিচার ফিল্ম হিসেবে। দুবারই সেটি সর্বোচ্চ নম্বর পায়। একই স্ক্রিপ্ট কীভাবে ডকুমেন্টারি ও ফিচার ফিল্ম হিসেবে সর্বোচ্চ নম্বর পায়?’