করপোরেট ট্যাক্স কমানোর দাবি আইসিএবির

পুঁজিবাজারের তালিকাভুক্ত এবং তালিকার বাইরের কোম্পানিরগুলোর কর্পোরেট ট্যাক্স ২ শতাংশ কমানোর দাবি জানিয়েছে দি ইনস্টিটিউট অব চার্টার্ড একাউন্টেন্ট বাংলাদেশ (আইসিএবি)। একইসঙ্গে ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীদের সুবিধার্থে ৫০ লাখ টাকা পর্যন্ত করমুক্ত রাখার দাবি।
রোববার রাজধানীর সিএ ভবনে আগামী জাতীয় বাজেটের ওপর চার্টার্ড একাউন্টেন্টদের ভাবনা শীর্ষক সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে এ দাবি করেন আইসিএবি।
আইসিএবি সভাপতি নেসার উদ্দিন বলেন, বর্তমানে মাত্র ১ শতাংশ মানুষ ট্যাক্স রিটার্ন জমা দেয়। এতো কম দেবার কারণ জনগণের মধ্যে এখনোও ট্যাক্স দেবার এক ধরনের ভীতির কাজ করে। প্রথমে সেই ভয় দূরীকরণে এনবিআরকে কার্যকরী উদ্যোগ নেবার পরামর্শ দেন।
একইসঙ্গে তিনি বলেন, করদাতার সংখ্যা বাড়ানো না গেলে ভবিষ্যতে আমাদের দেশ মধ্য আয়ের দেশে পরিণত করতে পারবো না।
আইসিএবির সাবেক সভাপতি হুমায়ুন কবির বলেন, দক্ষিণ এশিয়ার অন্যান্য দেশগুলোর চেয়ে আমাদের দেশের করপোরেট ট্যাক্স হার অনেক বেশি। তাই বিদেশি বিনিয়োগ পেতে হলে এ মুহূর্তে করপোরেট ট্যাক্স কমানো অত্যন্ত জরুরি।
তিনি আরও বলেন, ট্যাক্সরেট কমালে রাজস্ব কমে যাবে এধরনের মন্তব্যে ঠিক নয়। বরং করপোরেট ট্যাক্স কমানো হলে আরো অনেক ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী করের আওতায় প্রবেশ করবে। একারনে বেসরকারি বিনিয়োগ বাড়ার পাশাপাশি কর্মসংস্থানও বাড়বে।
এর আগে সম্প্রতি জাতীয় রাজস্ব বোর্ড এনবিআর এর সাথে আলোচনায় ২০১৯-২০ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেটে আয়কর ও মূল্য সংযোজন কর সংক্রান্ত যে সব দাবি আইসিএবি তুলে ধরেছে।
সেই দাবিগুলো হচ্ছে- বিভিন্ন সেক্টরের কর্পোরেট ট্যাক্স ২ শতাংশ কমিয়ে আনা; ব্যক্তি শ্রেণির জন্য বিদ্যমান করের স্তর দ্বিতীয় ধাপ ৫ শতাংশ থেকে শুরু করা এবং সর্বোচ্চ করহার ২৫ শতাংশে সীমিত রাখা; আয়ের ২৫ শতাংশের উপর সরাসরি ১৫ শতাংশ কর রেয়াত প্রদান; করের আওতা বাড়াতে অর্থবহ জরীপ কার্য পরিচালনা করা; ইটিআইএন ধারীদের সাথে যোগাযোগ স্থাপনের মাধ্যমে রিটার্ন দাখিল সংখ্যা বৃদ্ধি করা; ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীদের সুবিধার্থে ৩৬ লাখ থেকে ৫০ লাখ
টাকা পর্যন্ত করমুক্ত রাখা।
এছাড়া ১৯৯১ সালের ভ্যাট আইন অনুযায়ী চার্টার্ড একাউন্টেন্ট করদাতা অনুমোদিত প্রতিনিধি হিসেবে শুনানিতে অংশগ্রহণ বিধান ২০১২ সালের মূসক আইনের ১৩০ ধারায় সন্নিবেশিত হয়নি। আইসিএবি এ ধারায় চার্টার্ড একাউন্টেন্টদের সংযোজন করার দাবি করেন। পাশাপাশি ২০১২ সালের মূসক আইন মোতাবেক প্রতিটি আপিল পর্যায়ে হাইকোর্টে আপিল দায়ের কালে ১০ শতাংশ অর্থ জমার বিধান রয়েছে। এ বিধান বাতিল করে আইসিবি ১৯৯১ সালের বিধান বলবৎ রাখার দাবি করেন।
নিউজবাংলাদেশ.কম/এমএজেড/ডি