জমির বিরোধকে কেন্দ্র করে ঢাকার দোহারে কাপড় ব্যবসায়ী নজরুল ইসলামকে হত্যার দায়ে ১৫ আসামিকে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছেন আদালত। এক দশক আগে এ ঘটনা ঘটে। মামলার অপর দুই আসামিকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেয়া হয়েছে।
বুধবার ঢাকার প্রথম অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ প্রদীপ কুমার রায় এই রায় দেন।
জমি নিয়ে বিরোধের জেরে ২০০৮ সালের ৩ এপ্রিল বুড়িগঙ্গা ব্রিজের পাশে নারিশা পশ্চিম চর এলাকায় কাপড় ব্যবসায়ী নজরুল ইসলামকে হত্যা করা হয়।
মৃত্যদণ্ডপ্রাপ্ত ১৫ আসামির মধ্যে সিরাজ ওরফে সেরু কারিগর, মিনহাজ ওরফে মিনু, খলিল কারিগর, শাহজাহান কারিগর, কালু ওরফে কুটি কারিগর, আজহার কারিগর, নিয়াজ উদ্দিন, মোজাম্মেল ওরফে সুজা, আ. লতিফ, জালাল ও বিল্লাল রায়ের সময় আদালতে উপস্থিত ছিলেন। এছাড়া দিদার, এরশাদ, জলিল কারিগর ও ইব্রাহিম পলাতক।
যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত দুজন হলেন- মজিদল ওরফে মাজেদা ও চায়না বেগম। তারা দুজনই পলাতক। কারাদণ্ডের পাশাপাশি তাদেরকে ২০ টাকা করে জরিমানা করা হয়েছে। ওই টাকা না দিলে তাদের আরও এক বছর কারাভোগ করতে হবে বলে রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী কাজী সাহানারা ইয়াসমীন জানান।
মামলার বিবরণে জানা যায়, নজরুলের সঙ্গে আসামিদের জমি নিয়ে বিরোধ ছিল। এ বিষয়ে একাধিক মামলাও চলছিল আদালতে। এর জের ধরে আসামিরা তাকে লোহার রড ও বাঁশের লাঠি দিয়ে পিটিয়ে গুরুতর জখম করে।
নজরুলকে বাঁচাতে তার স্ত্রী সূর্যভান এগিয়ে গেলে তাকেও আঘাত করে আসামিরা। ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হলে চিকিৎসক নজরুলকে মৃত ঘোষণা করেন।
নজরুলের মামা নাজিমুদ্দিন আহমেদ ওই দিনই দোহার থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন। তদন্ত শেষে গোয়েন্দা পুলিশের উপ-পরিদর্শক আনোয়ার হোসেন ২০০৮ সালের ২৬ জুলাই আদালতে অভিযোগপত্র দেন। সেখানে মোট ১৭ জনকে আসামি করা হয়।
২০০৯ সালের ২৫ মে আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করে তাদের বিচার শুরু করে আদালত। দীর্ঘ বিচারে বাদীপক্ষে ১৪ জনের সাক্ষ্য শুনে বিচারক আসামিদের দোষী সাব্যস্ত করে রায় দিলেন।