নিরাপত্তা দিতে ব্যর্থ নিউজিল্যান্ড: বিসিবি
স্পোর্টস রিপোর্টার
									
															নিউজিল্যান্ডে অল্পের জন্য প্রাণে বেঁচে গেছেন বাংলাদেশের ক্রিকেটাররা। ক্রাইস্টচার্চে হ্যাগলি ওভাল মাঠের কাছেই যে মসজিদে জুমার নামাজ পড়তে গিয়েছিলেন তাঁরা, সেই মসজিদেই সন্ত্রাসী হামলা হয়েছে। একাধিক হতাহতের ঘটনাও ঘটেছে।
এই ঘটনায় হতাশ বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি)। ওই ঘটনার পর শুক্রবার দুপুরে গুলশানে নিজ বাসভবনে বিসিবির প্রধান নাজমুল হাসান পাপন সাংবাদিকদের বলেন, “সর্বশেষ অবস্থা হল এখন ক্রিকেটাররা সবাই নিরাপদে হোটেলে অবস্থান করছে। যে পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে সেখানে (নিউজিল্যান্ডে) আর খেলার পরিবেশ নেই। দ্রুতই আমাদের ক্রিকেটারা ফিরে অনার জন্য সব চেষ্টা চলছে।”
নিউজিল্যান্ডে নিরাপত্তা নিয়ে হতাশ বিসিবি। এ বিষয়ে তিনি বলেন, “নিউজিল্যান্ডে আমাদের দলের যে নিরাপত্তা থাকার কথা ছিল, তার ধারের কাছেই ছিলনা নিরাপত্তা। এই ধরনের ঘটনা ঘটতে পারে তারা ধারণাই করতে পারেনি। তবে ঘটনার পর পুলিশ ঘটনা স্থলে যেতে যত সময় লেগেছে তা সত্যিই হতাশার।’’
এছাড়া ঘটনার বর্ণনা দিয়ে পাপন বলেন, “ওই ঘটনার সময় আমাদের ক্রিকেটাররা তিন ভাগে ছিল। কোচিং স্টাফরা গিয়েছিল লাঞ্চ করতে। অন্য একটি গ্রুপ মাঠেই ছিল। বাকিরা যাচ্ছিল নামাজ পড়তে। যারা গাড়ি নিয়ে নামাজ পড়তে যাচ্ছিল তারা যাওয়ার সময় একজন মহিলা গাড়ির সামনে এসে বলে মসজিদে না যেতে। এরপর ক্রিকেটাররা গুলির শব্দ শুলে সেখান থেকে ফেরে।”
উল্লেখ্য, বাংলাদেশ দলের বাস তখন মসজিদের সামনে। ক্রিকেটাররা বাস থেকে নেমে মসজিদে ঢুকবেন, এমন সময় রক্তাক্ত শরীরের একজন মহিলা ভেতর থেকে টলোমলো পায়ে বেরিয়ে এসে হুমড়ি খেয়ে পড়ে যান। ক্রিকেটাররা তখনো বুঝতে পারেননি ঘটনা কী। তাঁরা হয়তো মসজিদে ঢুকেই যেতেন, যদি না বাসের পাশের একটা গাড়ি থেকে এক ভদ্রমহিলা বাংলাদেশের ক্রিকেটারদের বলতেন, ‘ভেতরে গোলাগুলি হয়েছে। আমার গাড়িতেও গুলি লেগেছে। তোমরা ভেতরে ঢোকো না।’
নিউজবাংলাদেশ.কম/ এমএস








