জনতা ব্যাংকের ৪শ কোটি টাকা লোপাটে দুদকের অনুসন্ধান
ঢাকা: রাষ্ট্রায়ত্ত জনতা ব্যাংকের দুটি শাখা থেকে প্রায় চারশ কোটি টাকা লোপাটের অভিযোগ অনুসন্ধান শুরু করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। এ অভিযোগটি অনুসন্ধান করছেন দুদকের উপপরিচালক ফরিদ আহমেদ পাটোয়ারী। এর সঙ্গে জড়িত কর্মকর্তা এবং সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠান প্রধানদের জিজ্ঞাসাবাদের জন্য দ্রুত নোটিশ করা হবে বলে দুদক সূত্রে জানা গেছে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক শীর্ষ কর্মকর্তা জানান, প্রায় দুমাস ধরে এ অভিযোগটি আনুসন্ধান করা হচ্ছে। মহাহিসাব নিরীক্ষক কার্যালয়ের (সিএজি) এক প্রতিবেদনে ওই অর্থ লোপাট হওয়ার তথ্য পাওয়া গেছে। সম্প্রতি অর্থমন্ত্রণালয় থেকে সিএজির ওই প্রতিবেদনটি দুদকে পাঠানো হলে কমিশন অভিযোগটি খতিয়ে দেখে অনুসন্ধান শুরু করে।
দুদক সূত্র জানান, ব্যাংকের করপোরেট শাখা এবং বৈদেশিক শাখার কর্মকর্তারা এ অর্থ আত্মসাতের সঙ্গে জড়িত থাকতে পারেন। ৩১টি ব্যবসায়ীক প্রতিষ্ঠান রয়েছে যারা বিভিন্ন নামে এ ঋণ দিয়েছেন। এদের সহায়তা করেছেন ব্যাংকেরই কর্মকর্তারা। এসব প্রতিষ্ঠান ঋণ নেয় ২০০৬ সালে।
দুদকের অভিযোগে বলা হয়েছে, ব্যবসায়ী প্রতিষ্ঠানগুলো ওই দুটি শাখায় আমদানি এলসি খুলে ১৫ শতাংশ সুদে ঋণ নিয়েছিল। পরে সুদের হার ৮ শতাংশ করা হলেও ঋণের বিপরীতে সুদ বা আসল কোনো টাকা পরিশোধ করা হয়নি।
দুদকের ওই কর্মকর্তা আরও জানান, জিজ্ঞাসাবাদের জন্য অভিযুক্তদের দ্রুত ডাকা হবে। একই বিষয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে ব্যাংকের ওই শাখার সংশ্লিষ্ট দায়িত্বশীল কর্মকর্তদেরও। পাশাপাশি অভিযুক্ত ব্যবসায়ী প্রতিষ্ঠান প্রধানদেরও ডাকা হবে।
অভিযুক্ত শিল্প প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো- হাইটেক প্রোডাক্টস, মানতাকা প্রিন্টিং লিমিটেড, আসমা কোল্ড স্টোরেজ, ড্রাগন সোয়েটার্স লিমিটেড, মৈত্রী নিটিংস, ফ্যাশন ক্রাফট নিটওয়্যার, ন্যাশনাল ড্রাগ কোম্পানি, ইউকে নিটওয়্যার, শাহজাদপুর নিটওয়্যার, জজ ফ্যাশন, মুন স্টিল, বি অ্যান্ড সি ফ্যাশন, মিলেনিয়াম প্যাকেজিং, ঠিকানা ফ্যাশন, সিলভানা অ্যাপারেলস ও টেক্স নিট ইন্টারন্যাশনাল।
দুদকের পক্ষ থেকে ঋণ গ্রহীতা প্রতিষ্ঠানের যাবতীয় নথিপত্র চেয়ে জনতা ব্যাংকের শীর্ষ কর্মকর্তার কাছে অনুরোধ জানানো হয়েছে। এ সব কাগজপত্র দুদকে এসে পৌঁছালে আরও পুঙ্খানুপুঙ্খানুভাবে তথ্য পর্যালোচনা করে সিদ্ধান্ত নেওয়া সহজ হবে।
নিউজবাংলাদেশ.কম/টিআইএস/এএইচকে
নিউজবাংলাদেশ.কম








