News Bangladesh

|| নিউজবাংলাদেশ

প্রকাশিত: ১২:৩৬, ২১ জুন ২০১৫
আপডেট: ১৫:৩৩, ৩ ফেব্রুয়ারি ২০২০

লোড লেভেল ক্রস করার আগেই লঞ্চ ছাড়তে হবে

লোড লেভেল ক্রস করার আগেই লঞ্চ ছাড়তে হবে

ঢাকা: ঈদের সময় কোনো ক্রমেই লঞ্চে যাত্রী ও মালামাল ওভারলোড করা যাবে না। লোড লেভেল ক্রস করার আগেই লঞ্চ ছেড়ে দিতে হবে। সদরঘাট থেকে লঞ্চ ছাড়ার পর পথিমধ্যে লঞ্চ থামিয়ে নৌকা বা অন্য কোনো মাধ্যমে যাত্রী বা মালামাল উঠানো যাবে না বলে জানিয়েছেন নৌ পরিবহণ মন্ত্রী শাজাহান খান।

রোববার বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহণ কর্তৃপক্ষ (বিআইডব্লিউটিএ) ভবনের  সভাকক্ষে আসন্ন ঈদ-উল ফিতর উপলক্ষে লঞ্চ, ফেরি সার্ভিস ও বিভিন্ন স্টিমার, লঞ্চসহ অন্যান্য জলযানের নিরাপদ চলাচল বিষয়ক এক সভায় এসব কথা বলেন তিনি।

নৌ পরিবহণমন্ত্রী বলেন, সরকার নিরাপদ ও সুষ্ঠু নৌ চলাচল এবং যাত্রীসেবা নিশ্চিত করতে বদ্ধপরিকর। এ লক্ষ্য বাস্তবায়নে কোনো ধরনের অনিয়ম ও গাফিলতি বরদাশত করা হবে না।

সভায় ঈদের সময় লঞ্চে নির্ধারিত ভাড়ার অতিরিক্ত ভাড়া না নেওয়া, লঞ্চের স্বাভাবিক চলাচল নিশ্চিতকল্পে নৌপথে সকল মাছ ধরার জাল পাতা বন্ধ রাখা, লঞ্চে যাত্রীর ওঠার সময় থেকে লঞ্চের চালক, মাস্টার ও অন্যান্য কর্মচারীর অবস্থান নিশ্চিত করা, ঈদের পূর্বে ৩  দিন ও ঈদের পরে ৩ দিন নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্য ব্যতীত সাধারণ ট্রাক ও কাভার্ড ভ্যান ফেরিতে পারাপার বন্ধ রাখা, রাতের বেলায় (সূর্যাস্ত থেকে সূর্যোদয় পর্যন্ত) সকল প্রকার মালবাহী জাহাজ, বালুবাহী বাল্কহেড চলাচল বন্ধ রাখা, মাওয়া ও পাটুরিয়াঘাটে অধিক যাত্রী হলে প্রয়োজনে ফেরি দিয়ে যাত্রী পারাপারের ব্যবস্থা করা, সূর্যাস্তের পর স্পিডবোট চলাচল বন্ধ রাখা, স্পিড বোট যাত্রীদের অবশ্যই লাইফ জ্যাকেট পরা বাধ্যতামূলক করার সিন্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।  

সার্বিক অবস্থা মনিটরিংয়ের জন্য নৌ-পরিবহণ মন্ত্রণালয় প্রয়োজনীয় সংখ্যক ভিজিলেন্স টিম গঠন করবে। ফেরিঘাট ও লঞ্চঘাটসমূহে অতিরিক্ত ভাড়া আদায় ও অতিরিক্ত যাত্রী বোঝাই নিয়ন্ত্রণের জন্য মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করা হবে বলে জানানো হয়েছে।

গার্মেন্টস ও নিটওয়্যার সেক্টরে ঈদের ছুটি পুনঃবিন্যাস করার বিষয়ে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়, এফবিসিসিআই, বিজেএমইএ, বিকেএইমইকে অনুরোধ জানানো হবে। ফেরি ঘাটে সিরিয়াল প্রদানের বিষয়ে কোনো প্রকার অনিয়ম করা যাবে না। যাত্রীসেবা নিশ্চিত ও নিরাপত্তার বিষয়ে সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার দেওয়া হবে।

সভায় আরও সিদ্ধান্ত হয়, বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌ-পরিবহণ করপোরেশন (বিআইডব্লিউটিসি) কর্তৃক পরিচালিত ১৪টি ফেরিঘাট ও ফেরিঘাট সংলগ্ন লঞ্চ ঘাটগুলোতে ১ জুলাই থেকে ইজারা প্রথা বন্ধ থাকবে। ফেরিতে উঠার আগে বড় বাস ও ট্রাক প্রতি ৪০ টাকা এবং ছোট গাড়ি প্রতি ২০ টাকা দিতে হবে।

সভায় নৌপরিবহণ মন্ত্রণালয়ের সচিব শফিক আলম মেহেদী, বিআইডব্লিউটিএর চেয়ারম্যান কমডোর এম মোজাম্মেল হক, বিআইডব্লিউটিসির চেয়ারম্যান মো. মিজানুর রহমান, সমুদ্র পরিবহণ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক কমডোর এম জাকিরুল ইসলাম ভূঁইয়া, নৌ-পুলিশের মহাপরিচালক লঞ্চ মালিক, শ্রমিক, সড়ক পরিবহণ ফেডারেশন, ট্রাক ও কাভার্ড ভ্যান মালিক সমিতির প্রতিনিধি এবং জেলা প্রশাসক ও পুলিশ সুপাররা উপস্থিত ছিলেন।

নিউজবাংলাদেশ.কম/টিআইএস/কেজেএইচ

নিউজবাংলাদেশ.কম

সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়