আত্মবিশ্বাসী বাংলাদেশের সামনে ক্ষুরধার ভারত
ঢাকা: পরিসংখ্যান বলছে রঙিন পোশাকের ক্রিকেটে বাংলাদেশ ও ভারত ২৯টি ম্যাচে পরস্পরের মুখোমুখি হয়েছে। তাতে ২৫টি জয় ভারতের। তিনটি বাংলাদেশের। বাকি একটি ম্যাচ ড্র হয়েছে। কিন্তু তারপরও এই বাংলাদেশ সিরিজে পূর্ণ শক্তির দল নিয়েই ঢাকায় পা রেখেছে ভারত।
কারণ, এই বাংলাদেশ আত্মবিশ্বাসী। এই বাংলাদেশ লড়াকু। অথচ গত বছরের জুনে অ্যাওয়ে সিরিজে ভাঙাচোরা একটি দল পাঠিয়েছিল ভারতীয় ক্রিকেট কন্ট্রোল বোর্ড (বিসিসিআই)। তারাও টাইগাদের বিপক্ষে ২-০ ব্যবধানে সিরিজ জিতেছিল। তারপরও এবার সেই নীতি থেকে সরে এসেছে টিম ইন্ডিয়ার ম্যানেজম্যান্ট। বৃহস্পতিবার স্বাগতিকদের বিপক্ষে তিন ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজ শুরুর আগে সতর্ক মহেন্দ্র সিং ধোনি-বিরাট কোহলিরা।
কেন বাংলাদেশকে এবার গুরুত্ব দিচ্ছে ভারত- তার ব্যাখ্যা দিয়েছেন দলটির টপ অর্ডার ব্যাটসম্যান সুরেশ রায়না। তিনি বলেন, “সাম্প্রতিক সময়ে ওয়ানডে ক্রিকেটে দারুণ উন্নতি করেছে বাংলাদেশ। সেজন্য এই সিরিজটা আমাদের জন্যও খুবই গুরুত্বপূর্ণ। তবে ওয়ানডে ক্রিকেটে দীর্ঘদিন ধরে আমরাও ভালো করে আসছি। এই সিরিজেও সেই ধারাটা বজায় রাখতে চাই।” অর্থাৎ, এক বিন্দু জমিনও ছাড় দেবে না দুই বারের বিশ্বচ্যাম্পিয়নরা।
তবে দুই দলের মধ্যে এই সিরিজটি আরো বেশি গুরুত্ব পাচ্ছে গেল বিশ্বকাপের আম্পায়ারিং বিতর্ক ও আইসিসি র্যাংকিংয়ের কারণে। অস্ট্রেলিয়া বিশ্বকাপে ভারতের প্রতি আম্পায়াদের পক্ষপাতিত্ব নিয়ে ব্যাপক জলঘোলা হয়েছে। বিষয়টির প্রতিবাদ করতে গিয়ে ক্রিকেট নিয়ন্ত্রক সংস্থার প্রেসিডেন্টের পদ থেকে সরে দাঁড়ান বাংলাদেশের আ হ ম মোস্তফা কামাল। টলে যায় আইসিসির চেয়ারম্যান নারায়ণস্বামী শ্রীনিবাসনের মসনদও। ব্যাপক সমালোচনার শিকার হন ভারতীয় এই ক্রিকেট প্রশাসক।
এগুলো তো গেল মাঠের বাইরের বিষয়। তার থেকেও গুরুত্বপূর্ণ এই সিরিজে একটি ম্যাচে জয় পেলেই অষ্টম অবস্থান থেকে র্যাংকিংয়ে এক ধাপ ওপরে উঠে আসবে বাংলাদেশ। যা মাশরাফি মুর্তজা বাহিনীর চ্যাম্পিয়নস ট্রফিতে খেলার স্বপ্ন পূরণ করতে পারে। তবে সিরিজের সব ম্যাচ হারলে তার কড়া মাশুল দিতে হবে বাংলাদেশকে। তখন র্যাংকিংয়ে নয় নম্বরে নেমে যাবে সাকিব-তামিমরা। কঠিন হয়ে যাবে চ্যাম্পিয়নস লিগ খেলার স্বপ্ন। অন্যদিকে ভারতও একটি ম্যাচ হারলেই র্যাংকিংয়ে এক ধাপ নিচে নেমে যাবে।
এই কারণে দুই দলই পুরো শক্তি নিয়ে অস্ত্রে শান দিচ্ছে। বাংলাদেশ যেমন নিয়মিত বিগ্রেডের সাকিব, তামিম, মুশফিক, মাশরাফি, রুবেল, তাসকিন ও সৌম্যে সরকারদের পাশে অভিষেকের অপেক্ষায় থাকা লিটন কুমার দাস ও মোস্তাফিজুর রহমানদের ডেকে পাঠিয়েছে। ভারত তেমনি মহেন্দ্র সিং ধোনি, বিরাট কোহলি, সুরেশ রায়না, মোহিত শর্মা, রবিচন্দন অশ্বিন, ভুবনেশ্বর কুমার ও রোহিত শর্মাদের নিয়ে মাঠে নামছে।
নিউজবাংলাদেশ.কম/এফকে
নিউজবাংলাদেশ.কম








