রাজধানীর ধানমন্ডিতে এনায়েত কবীর চঞ্চল (৪৫) নামে এক যুবলীগ নেতার গুলিবিদ্ধ লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। তিনি আত্মহত্যা করেছেন বলে ধারণা পুলিশের।
আজ বুধবার সাড়ে ১১ টার দিকে ধানমন্ডির এক এর ৩৯ নম্বর ভবনের নিচতলায় গ্যারেজের পাশের বাথরুম থেকে মরদেহ ও একটি লাইসেন্স করা পিস্তল উদ্ধার করা হয়।
ধানমন্ডি থনার ওসি এ বি সিদ্দিক ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন। মাথায় গুলিবিদ্ধ অবস্থায় লাশটি উদ্ধার করা হয় বলে তিনি জানান।
এনায়েত কবির চঞ্চল (৫০) যুবলীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতিমণ্ডলির সদস্য ছিলেন।
ধানমন্ডি থনার ওসি আরো জানান, ভবনের বাসিন্দারা গুলির শব্দ পেয়ে থানায় খবর দেন। পরে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে ভবনের নিচতলায় গ্যারেজের পাশের টয়লেটের ভিতর থেকে লাশ উদ্ধার করে।
ওসি এ বি সিদ্দিক নিউজবাংলাদেশ.কমকে বলেন, পুলিশ ভেতর থেকে বন্ধ থাকা বাথরুমের দরজা ভেঙ্গে লাশটি উদ্ধার করে। এসময় নিহতের ডানহাতে পিস্তল ছিল।
চঞ্চলের বাড়ি নড়াইলের নড়াগাতী থানার ডুমুরিয়া গ্রামে। স্ত্রী ও তিন ছেলেকে নিয়ে তিনি ধানমণ্ডির ওই বাসায় থাকতেন বলে জানা গেছে।
চঞ্চল মাইগ্রেনের সমস্যায় ভুগছিলেন জানিয়ে তিনি বলেন, “উনি (চঞ্চল) টয়লেটের দরজা আটকে মাথায় গুলি করে আত্মহত্যা করেছেন বলে তার স্ত্রী-ছেলেরা জানিয়েছেন।”
ব্যবসায়ী চঞ্চল রাজধানীর ইস্টার্ন মল্লিকা মার্কেটের দোকান মালিক সমিতির সভাপতি ছিলেন। তিনি শেখ জামাল ফুটবল ক্লাবের পরিচালক ছিলেন বলেও জানান হাসনাত।
তিনি বলেন, চঞ্চলের বড় ছেলে তন্ময় নর্থ-সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ের বিবিএর ছাত্র। মেঝ ছেলে তাওহিদ আহসান একটি ইংলিশ মিডিয়াম স্কুলের ‘ও’ লেভেলের এবং ছোট ছেলে আদনার নবম শ্রেণির ছাত্র।
পুলিশের ধানমন্ডি অঞ্চলের সহকারী কমিশনার রেজাউল করিমের দাবি, প্রাথমিক তদন্তে নিজের লাইসেন্স করা পিস্তল মাথায় ঠেকিয়ে এনায়েত আত্মহত্যা করেছে বলে নিশ্চিত হওয়া গেছে। এনায়েতের স্বজনদের বরাত দিয়ে রেজাউল করিমের দেওয়া ভাষ্য, কিছুদিন ধরে এনায়েত বিষণ্নতায় ভুগছিলেন। আধ্যাত্মিক কথাবার্তা বলছিলেন।
ময়নাতদন্তের জন্য লাশ ঢাকা মেডিকেল কলেজের মর্গে পাঠানো হয়েছে।
নিউজবাংলাদেশ.কম/এইচ/এসজে