এপ্রিল ফুল কেন!
ঐতিহাসিকদের মতে, ১৫৬৪ সালে ফ্রান্সে নতুন ক্যালেন্ডার চালু করাকে কেন্দ্র করে এপ্রিল ফুল ডে'র সুচনা হয়।
ইরানে পার্সি ক্যালেন্ডার অনুসারে নববর্ষের ১৩তম দিনে বিশেষ আনন্দ করা হয়। এই দিন গ্রেগরিয়ান ক্যালেন্ডারে ১ এপ্রিল ও ২ এপ্রিল সদৃশ্য। 
ঐ ক্যালেন্ডারে ১ এপ্রিলের পরিবর্তে ১ জানুয়ারিকে নতুন বছরের প্রথম দিন হিসেবে গণনার সিদ্ধান্ত নেয়া হলে কিছু লোক তার বিরোধিতা করে। যারা পুরনো ক্যালেণ্ডার অনুযায়ী ১ এপ্রিলকেই নববর্ষের প্রথম দিন ধরে দিন গণনা করে আসছিল, তাদেরকে প্রতি বছর ১ এপ্রিলে বোকা উপাধি দেয়া হত।
ফ্রান্সে পয়সন দ্য আভ্রিল পালিত হয় এবং এর সাথে সম্পর্ক আছে মাছের। এপ্রিলের শুরুর দিকে ডিম ফুটে মাছের বাচ্চা বের হয়। এই শিশু মাছগুলোকে সহজে বোকা বানিয়ে ধরা যায়। সে জন্য তারা ১ এপ্রিল পালন করে পয়সন দ্য এভ্রিল অর্থাৎ এপ্রিলের মাছ হিসেবে। 
ফ্রান্সে সে দিন বাচ্চারা লুকিয়ে অন্য বাচ্চাদের পিঠে কাগজের মাছ বানিয়ে ঝুলিয়ে দেয়। যখন অন্যরা এটি দেখে তখন বলে চিৎকার করে ওঠে ‘পয়সন দ্য আভ্রিল’ বা এপ্রিলের মাছ।
কবি চসারের ক্যান্টারবারি টেইলস (১৩৯২) বইয়ের ‘নানস প্রিস্টস টেইল’ এ ১ এপ্রিলের এসব কথা উল্লেখ রয়েছে।
আমাদের দেশে এপ্রিলের প্রথম দিনে যাকে ঠকানো যাবে সে সারা বছর ঠকতেই থাকবে এমন একটি ধারণা নিয়ে এপ্রিলের প্রথম দিন শুরু হয়। তবে এটি নিছক অপসংস্কৃতি বলেই মনে করেন অনেকে। 
নিউজবাংলাদেশ.কম/এএইচকে
নিউজবাংলাদেশ.কম






































