News Bangladesh

|| নিউজবাংলাদেশ

প্রকাশিত: ১২:২৩, ১৪ আগস্ট ২০১৫
আপডেট: ০৮:৪৬, ৪ ফেব্রুয়ারি ২০২০

‘পাগলে কীনা বলে, ছাগলে কীনা খায়’

‘পাগলে কীনা বলে, ছাগলে কীনা খায়’

গাজীপুর: বিচারপতিদের রায়ের ব্যাপারে মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক মন্তব্য করেছেন, পাগলে কীনা বলে, ছাগলে কীনা খায়!

শুক্রবার দুপুরে গাজীপুর মহানগর আওয়ামী লীগের উদ্যোগে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৪০তম শাহাদাৎ বার্ষিকী উপলক্ষে অনুষ্ঠিত আলোচনা সভা ও মিলাদ মাহফিল অনুষ্ঠানে তিনি এ মন্তব্য করেন।

পত্রিকার উদ্ধৃতি দিয়ে তিনি বলেন, “বিচারপতিরা রায় দিয়েছেন, পাঁচ বছরের নির্বাচিত সরকার চার বছর দেশ চালাবে। আর বাকি একবছর ৩০ দল চালাবে। কোথা থেকে এসব জজ আমদানি করা হয়েছে আমরা জানি না। কী বলতে তারা কী বলেন! এ যেন গল্পের ভাষায়, পাগলে কীনা বলে ছাগলে কীনা খায়!”

মোজাম্মেল হক আরো বলেন, “তাদের বৈধ বলার পর অযাচিতভাবে কিছু ব্যাপার তারা এনেছেন। আমরা আশা করি, বিচার বিভাগ এ ব্যাপারে সচেতন থাকবেন। অযাচিতভাবে দেশের মধ্যে বিভ্রান্তি সৃষ্টির জন্য এ ধরনের বিচারকার্য বা রায় দেওয়া থেকে তারা বিরত থাকবেন।”

তিনি বলেন, “মধ্যপ্রাচ্যে আইএস যেভাবে ইসলামি রাষ্ট্র কায়েমের নামে ইসলামের অপব্যাখ্যা দিচ্ছে, তেমনি বাংলাদেশকে একটি সন্ত্রাসী রাষ্ট্র হিসেবে পরিণত করার জন্য বাংলাদেশেও তারা তৎপর রয়েছে। এজন্য আমাদের নেতা-কর্মীদের সজাগ থাকতে হবে।”

মন্ত্রী বলেন, “জাতীয় ও আন্তর্জাতিক ষড়যন্ত্রের কারণে ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করা হয়। এ হত্যার আদেশ এসেছিল ইয়াহিয়া সরকারের আমলে। আমরা যখন যুদ্ধ করছিলাম, তখন আগস্ট মাসেই বঙ্গবন্ধুকে ফাঁসিতে ঝুলিয়ে হত্যা করার জন্য ইয়াহিয়ার আদালত থেকে সেদিন আদেশ দেওয়া হয়।”

তিনি আরো বলেন, “পাকিস্তানিরা তা বাস্তবায়ন করতে পারেনি। দুঃখের বিষয় আমাদেরই কিছু কুলাঙ্গার বাঙালি দ্বারা সে আদেশ তারা ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট এ দেশেই বাস্তবায়ন করে। ১৯৭৫ সালে ১৫ আগস্ট সেই রাতে বাংলাদেশে অবস্থিত বিদেশি একটি কূটনৈতিক কার্যালয় সারারাত খোলা ছিল।”

মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী বলেন, “বঙ্গবন্ধুকে হত্যার খবর তারা তাদের প্রভুদের নিশ্চিত করার পরেই সেই দূতাবাসের কার্যক্রম সে দিন বন্ধ ছিল। আমরা মনে করি, হত্যাকাণ্ড বাস্তবায়নকারীদের বিচার হয়েছে। কিন্তু যারা চক্রান্তকারী তাদের বিচার এখনো হয়নি। ইনশা আল্লাহ, বঙ্গবন্ধুর রক্তের ও আদর্শের উত্তরাধিকার সফল রাষ্ট্রনায়ক শেখ হাসিনার সরকার সে ব্যাপারে ব্যবস্থা করবে।”

এসময় তিনি বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার উদ্দেশে বলেন, “আপনার স্বামী বঙ্গবন্ধুর হত্যার সঙ্গে জড়িত ছিল। আপনার ছেলে তারেক রহমান ২০০৪ সালের গ্রেনেড হামলার সঙ্গে জড়িত এবং আপনি জামায়াতে ইসলামীর অঘোষিত আমীর। সরকারের কোনো কর্মকাণ্ডকে বিভ্রান্ত করতে চাইলে এর জবাব জনগণ বিগত দিনে দিয়েছে, ভবিষ্যতেও দেবে।”

স্থানীয় মালেকের বাড়ি এলাকায় গাজীপুর মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি অ্যাড. আজমত উল্লাহ খানের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গীর আলমের পরিচালনায় অনুষ্ঠানে আরো বক্তব্য রাখেন, সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আতাউল্যাহ মন্ডল, শহর আওয়ামী লীগের সভাপতি ওয়াজ উদ্দিন মিয়া প্রমুখ।

নিউজবাংলাদেশ.কম/এটিএস

নিউজবাংলাদেশ.কম

সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়