বুধবার আগারগাঁওয়ের বিএসইসি মাল্টিপারপাস হলে ‘ফাইন্যান্সিয়াল স্টেটমেন্ট অ্যানালাইসিস অ্যান্ড ডিটেকশন অব ফ্রড’বিষয়ক সেমিনারে প্যানেল আলোচকের বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
বুধবার আগারগাঁওয়ের বিএসইসি মাল্টিপারপাস হলে ‘ফাইন্যান্সিয়াল স্টেটমেন্ট অ্যানালাইসিস অ্যান্ড ডিটেকশন অব ফ্রড’বিষয়ক সেমিনারে প্যানেল আলোচকের বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
আর্থিক হিসাবে অসত্য তথ্য দেওয়ার কাজে প্রফেশনাল অ্যাকাউন্টেন্টরা জড়িত। আর এই কাজ চাপ দিয়ে করিয়ে নিচ্ছে কোম্পানির চেয়ারম্যানরা বলে জানিয়েছেন ফিন্যান্সিয়াল রিপোর্টিং কাউন্সিলের (এফআরসি) নির্বাহী পরিচালক মোহাম্মদ মহিউদ্দিন আহমেদ। একই সঙ্গে বলেন, কোম্পানির পরিচালকদের চাপে বাড়ির বুয়ার খরচ, বাড়ির বাজার, ড্রাইভারদের বেতনসহ অন্য খরচও কোম্পানির ব্যয় হিসাবে দেখানো হচ্ছে।
বুধবার আগারগাঁওয়ের বিএসইসি মাল্টিপারপাস হলে ‘ফাইন্যান্সিয়াল স্টেটমেন্ট অ্যানালাইসিস অ্যান্ড ডিটেকশন অব ফ্রড’বিষয়ক সেমিনারে প্যানেল আলোচকের বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিএসইসির চেয়ারম্যান ড. এম খায়রুল হোসেন।
মহিউদ্দিন আহমেদ বলেন, অডিটর নিয়োগ দেওয়ার ক্ষেত্রে কোম্পানির চেয়ারম্যান চীফ ফাইন্যান্স অফিসারকে (সিএফও) বলেন, কাকে নিরীক্ষক হিসেবে নিয়োগ দিচ্ছ, সে আমাদের কথা শুনবে তো। এটাই হল নিরীক্ষক নিয়োগের প্রথম শর্ত। এ সমস্যাটি নিয়ে আমরা এফআরসিতে আলোচনা করেছি।
ফাইন্যান্সিয়াল স্টেটমেন্ট একটি কোম্পানির আয়না উক্তি করে তিনি বলেন, ওই স্টেটমেন্টের মধ্যে কোম্পানির সব তথ্য থাকে। কিন্তু কোম্পানিগুলো যে তথ্য তুলে ধরে, তাতে বিনিয়োগকারীদের অনাস্থা। এছাড়া কোম্পানির মালিক ও নিরীক্ষকের মধ্যে যোগসাজোশের একটি সমস্যা রয়েছে। যাদের সঙ্গে সর্ম্পক্য ভাল, কোম্পানিগুলো তাদেরকেই নিরীক্ষা করছে। কারন এই বাংলাদেশ একটি ছোট জায়গা। এখানে ৩৭০ জন চার্টার্ড অ্যাকাউন্টেন্ট ১৫৯টি অডিট ফার্ম দিয়ে নিরীক্ষা কাজ করে। কাজেই এরা কোন না কোনভাবে কোম্পানির সঙ্গে সম্পৃক্ত।
অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন বিএসইসির নির্বাহী পরিচালক ও বাংলাদেশ একাডেমি অব সিকিউরিটি মার্কেটিংয়ের (বিএএসএম) ডিজি মো. মাহবুবুল আলম, বিএসইসির নির্বাহী পরিচালক ফরহাদ আহমেদ, বিএসইসির পরিচালক কামরুল আনাম খান, সিডিবিএলের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও সিইও শুভ্র কান্তি চৌধুরী, সিএমজেএফের প্রেসিডেন্ট হাসান ইমাম রুবেল এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ফিনান্স বিভাগের সহকারী অধ্যাপক মোহাম্মদ সালাহউদ্দিন চৌধুরী প্রমুখ।