News Bangladesh

|| নিউজবাংলাদেশ

প্রকাশিত: ১৭:২৭, ২৬ ফেব্রুয়ারি ২০২০
আপডেট: ১৪:২৯, ২৬ এপ্রিল ২০২০

ডাফির দীর্ঘ সময় অনুপস্থিতির কারণ শারীরিক নির্যাতন!

ডাফির দীর্ঘ সময় অনুপস্থিতির কারণ শারীরিক নির্যাতন!

হঠাৎ ধূমকেতুর মতো জ্বলে উঠে, বিশ্বসংগীতে আলোড়ন ফেলে উধাও হয়ে গিয়েছিলেন গ্রামিজয়ী সংগীতশিল্পী ডাফি।  বিশ্বসংগীতে অনেকের কাছেই তার এই দীর্ঘ অনুপস্থিতির কারণই ছিল অজানা।  তবে আজ ইনস্টাগ্রামে একটি পোস্টের মাধ্যমে তিনি তার ব্যখ্যা জানিয়েছেন।

ডাফি জানান, এক দশক আগে তাকে তুলে নিয়ে গিয়ে জোর করে মদ খাইয়ে ধর্ষণ করা হয়েছিল। এরপর ধর্ষকেরা তাকে কয়েক দিন বেঁধে ফেলে রেখেছিল। ৩৫ বছর বয়সী এই ইংলিশ তারকা জানান, সেই শারীরিক ও মানসিক ক্ষত কাটিয়ে উঠতে তার দীর্ঘদিন সময় লেগে গেল। 

এক যুগ আগে ২০০৮ সালে মুক্তি পায় ডাফির প্রথম অ্যালবাম ‘রকফেরি’। মুক্তির পরই অ্যালবামটি তুমুল আলোড়ন ফেলে সংগীতবিশ্বে। যুক্তরাজ্যে দীর্ঘদিন টপ চার্টের ১ নম্বরে ছিল এই অ্যালবাম। ওই বছরে কেবল ইংল্যান্ডে ১৬ লাখ ৮০ হাজার ও বিশ্বব্যাপী ৭০ লাখ কপি বিক্রির রেকর্ড করে এই অ্যালবাম। পায় ৭টি প্লাটিনাম। ৫১তম গ্র্যামির আসরে জিতে নেয় সেরা পপ অ্যালবামের পুরস্কার। ২০০৯ সালে জেতেন তিনটি ব্রিট পুরস্কার।

ইনস্টাগ্রামে ৮৪ হাজার ৬০০ ফলোয়ারকে ৩৫ বছর বয়সী এই গায়িকা, গীতিকার ও অভিনয়শিল্পী আশ্বস্ত করে আরও জানান, এখন তিনি সম্পূর্ণ সুস্থ আর ভালো আছেন। শুরু করেছেন এভাবে, ‘আমি যে কত হাজারবার এটি লেখার কথা ভেবেছি, তা কেবল কল্পনাযোগ্য। আমি কীভাবে সব বলব, তারপর আমার কেমন লাগবে, কত কথা যে ভেবেছি। আমাকে যদি জিজ্ঞেস করা হয়, কেন আমার মনে হলো যে এটিই সঠিক সময়, আমি উত্তর দিতে পারব না। তবে এটুকু বলতে পারি, আমার মন বলছে, এখন আমি প্রস্তুত।’

ডাফি আরও লেখেন, ‘আমি দীর্ঘদিন আড়ালে ছিলাম। পৃথিবীর আর সবকিছু থেকে নিজেকে গুটিয়ে নিয়েছিলাম। তারপর একদিন একজন সাংবাদিক আমাকে খুঁজে বের করলেন। গত গ্রীষ্মে তাঁকেই মন খুলে সব বললাম। আর আমার এত ভালো লাগল! অনেকটা হালকা হলাম।’ এরপরই ডাফি লেখেন, ‘চিন্তা করবেন না, আমি এখন সম্পূর্ণ সুস্থ আর ভালো আছি। আমাকে মাদকাসক্ত করে ধর্ষণ করে কয়েক দিন বেঁধে ফেলে রাখা হয়। আমি বেঁচে ফিরেছি। সবকিছু কাটিয়ে উঠতে সময় লেগেছে।’

এত দিন পর কেন? সেই প্রশ্নের উত্তরও দিয়েছেন ‘মারসি’খ্যাত এই সংগীতশিল্পী। ‘আমি মানুষকে আমার বিষণ্ন চেহারা দেখাতে চাইনি। দেখাতে চাইনি যে আমি কত দুঃখী। আমি কেবল আপেক্ষা করেছি সেসব পেরোনোর জন্য। যখন আমার হৃদয়ে আবারও জীবনের জন্য বসন্ত লেগেছে, চোখ থেকে বীভৎস অতীতের ছায়া মুছে গেছে, তখনই আমি বিশ্বকে এসব জানানোর সঠিক সময় হিসেবে বেছে নিয়েছি।’

গানকে বিদায় বলে লোকচক্ষুর আড়ালে চলে যাওয়ার বিষয়টিও এভাবে বললেন তিনি ‘আমি কীভাবে গাইব, যখন আমার হৃদয় ক্ষতবিক্ষত? ধীরে ধীরে সব সেরে উঠে সেখানে উঁকি দিয়েছে সূর্যোদয়। আর আমি সব পেছনে ফেলে এবার নব জীবন যাপন করব।’

 

নিউজবাংলাদেশ.কম/এনডি

সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়