বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার স্বাস্থ্যগত বিষয়ে সর্বশেষ তথ্যের নির্দেশনা চেয়ে হাইকোর্টে আবেদন করেছেন তার আইনজীবীরা।
দুপুর ২টায় এ বিষয়ে শুনানি হবে। একই সঙ্গে খালেদার জামিন আবেদনের ওপরও শুনানি হবে।
খালেদার আইনজীবী সগির হোসেন লিয়ন বলেন, “আমরা ম্যাডামের (খালেদা) স্বাস্থ্যগত বিষয়ে সর্বশেষ তথ্য চেয়ে আবেদন করেছি। এ বিষয়ে দুপুর ২টায় শুনানি অনুষ্ঠিত হবে।”
এর আগে জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট মামলায় আদালতে সকালে জামিন আবেদনটির শুনানির সময় ধার্য ছিল। তালিকায় এটি ১ নম্বরে ছিল। রাষ্ট্রপক্ষের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে হাইকোর্টের বিচারপতি ওবায়দুল হাসান ও বিচারপতি একেএম জহিরুল হকের সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ এই সময় নির্ধারণ করেন।
রোববার এ মামলা শুনানির জন্য তালিকায় আসলে আদালতে ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল মো. সারওয়ার হোসেন (বাপ্পী) বলেন, “অ্যাটর্নি জেনারেল এ মামলায় শুনানি করবেন। তিনি এখন অন্য মামলায় ব্যস্ত আছেন। এ জন্য দুপুর ১টা পর্যন্ত সময় প্রয়োজন।”
তখন আদালত বলেন, “এটা দুপুর ২টায় হবে।”
এ সময় খালেদা জিয়ার পক্ষে ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ তাতে সায় দিয়ে বলেন, “এটা আদালতের বিষয়। আমাদের সমস্যা নেই।”
খালেদা জিয়ার পক্ষে উপস্থিত ছিলেন আইনজীবী জয়নুল আবেদীন, খন্দকার মাহবুব হোসেন, ব্যারিস্টার কায়সার কামাল। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল মো. সারওয়ার হোসেন বাপ্পী।
১৮ ফেব্রুয়ারি (মঙ্গলবার) এই আবেদনটি হাইকোর্টের সংশ্লিষ্ট শাখায় দায়ের করেন খালেদা জিয়ার আইনজীবী সগীর হোসেন লিয়ন।
এর আগে গত বছরের ১২ ডিসেম্বর এ মামলায় তার জামিন আবেদন পর্যবেক্ষণসহ খারিজ করে দিয়েছিলেন আপিল বিভাগ। তবে আবেদনকারী (খালেদা জিয়া) যদি সম্মতি দেন তাহলে বোর্ডের সুপারিশ অনুযায়ী তার অ্যাডভান্স ট্রিটমেন্টের পদক্ষেপ নিতে বলা হয়।
২০১৮ সালের ফেব্রুয়ারিতে জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় পাঁচ বছরের কারাদণ্ড পেয়ে বন্দি রয়েছেন খালেদা জিয়া। আপিলের পর হাইকোর্টে যা বেড়ে ১০ বছর হয়। পরে ২০১৮ সালের ১৮ নভেম্বর খালাস চেয়ে আপিল বিভাগে খালেদা জিয়া জামিন আবেদন করেন। তবে সেই আবেদন এখনো আদালতে উপস্থাপন করেননি তার আইনজীবীরা।
২০১৮ সালের ২৯ অক্টোবর পুরান ঢাকার কেন্দ্রীয় কারাগারের প্রশাসনিক ভবনের সাত নম্বর কক্ষে স্থাপিত ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৫ এর বিচারক মো. আখতারুজ্জামান (বর্তমানে হাইকোর্ট বিভাগের বিচারপতি) জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট মামলায় খালেদা জিয়াকে সাত বছরের সশ্রম কারাদণ্ড দেন। একই সঙ্গে তাকে ১০ লাখ টাকা জরিমানা, অনাদায়ে আরও ছয় মাসের কারাদণ্ড দেয়া হয়। একই সাজা হয়েছে মামলার অপর তিন আসামিরও।