শুক্রবার দুদকের প্রধান কার্যলয়ে ভাষা শহীদদের স্মরণে এক আলোচনা সভায় ড. মো. মোজাম্মেল হক খান এ অনুরোধ জানান।
শুক্রবার দুদকের প্রধান কার্যলয়ে ভাষা শহীদদের স্মরণে এক আলোচনা সভায় ড. মো. মোজাম্মেল হক খান এ অনুরোধ জানান।
চিকিৎসকদের বাংলায় ব্যবস্থাপত্র লিখতে অনুরোধ জানিয়ে দুদক কমিশনার ড. মো. মোজাম্মেল হক খান বলেছেন ‘আমাদের দেশের সম্মানিত চিকিৎসকগণ যদি অনুগ্রহ করে ব্যবস্থাপত্রটি বাংলায় লেখেন, তাহলে আমাদের দেশের সামান্য অক্ষরজ্ঞান সম্পন্ন মানুষকে ব্যবস্থাপত্র বুঝতে অন্যের দ্বারস্থ হতে হয় না।’
শুক্রবার দুদকের প্রধান কার্যলয়ে ভাষা শহীদদের স্মরণে এক আলোচনা সভায় ড. মো. মোজাম্মেল হক খান এ অনুরোধ জানান।
তিনি বলেন, আমাদের দুর্ভাগ্য যখন শুনি কোনো কোনা বাঙালি পিতা-মাতা গর্ব করে বলেন, ‘আদের সন্তান ইংরেজিতেই কথা বলে, ভালো বংলা বলতে জানে না।’ আমি ব্যক্তিগতভাবে মনে করি এটা দুঃখজনক ও দূর্ভাগ্যজনক। ভুলে ভরা অনেকের ইংরেজি কথা শুনি, অনেকের এমন ইংরেজি লেখাও দেখি। এগুলো নিয়ে মন্তব্যও করতে চাই না।
আরও বলেন, ২১ শে ফেব্রুয়ারি একসময় ছিল শুধু বাংলাদেশের গর্বের বিষয়, এখন বিশ্ববাসীর গর্বের বিষয়। জাতি হিসেবে এটা আমাদের সত্যিই গর্বের।
শুদ্ধ বাংলা চর্চার আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, আমরা বার বার অঙ্গীকার করি আবার তা ভঙ্গ করি । তাই আসুন, শুদ্ধ বাংলা চর্চায় অঙ্গীকারাবদ্ধ হই। নিজেরা শুদ্ধ বাংলা জানার চেষ্টা করি। অঙ্গীকার রক্ষা করি।
দুদক কমিশনার এ এফ এম আমিনুল ইসলাম বলেন, কথন, নাটক, চলচ্চিত্রসহ বিভিন্ন মাধ্যমে বাংলা ভাষার বিকৃতি দেখে আমরা বিস্মিত হই। ভাষার এই কদর্য বিকৃতি ভাষার প্রতি শ্রদ্ধা প্রদর্শনের নিদর্শন হতে পারে না। আঞ্চলিক ভাষা বা বিকৃত ভাষা থাকবে কিন্তু তা মুখ্য ভাষা হতে পারে না।
তিনি বলেন, দুঃখজনক হলেও সত্য আমরা এই কঠিন সময় পার করছি। এর অবসান হওয়া উচিত। ভাষা শহীদদের শুধু একদিনের জন্য স্মরণ না করে, ৩৬৫ দিনই তাদের প্রতি আমাদের শ্রদ্ধাবোধ থাকা উচিত।
দুদক সচিব মুহাম্মদ দিলোয়ার বখ্ত ভাষা শহীদদের প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জানিয়ে বলেন, তাদের এই মহান আত্মত্যাগের তাৎপর্য আমাদের হৃদয়ে ধারণ করতে হবে। তাহলেই তাদের প্রতি প্রকৃত শ্রদ্ধা প্রদর্শন করা হবে।
আলোচনা সভায় অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন দুদকের তদন্ত অনুবিভাগের মহাপরিচালক মো. জাকির হোসেন, দুদকের সম্পদ ব্যবস্থাপনা শাখার পরিচালক মো. মনিরুজ্জামান খান, ঢাকা বিভাগী কার্যালয়ের পরিচালক মো. আকতার হোসেন, উপপরিচালক এএসএম সাজ্জাদ হোসেন, মো. রফিকুল ইসলাম প্রমুখ।