করাচি বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগের সভাপতি অধ্যাপক মোহাম্মদ আবু তৈয়ব খান করাচি বিশ্ববিদ্যালয়ে আর্ন্তজাতিক মাতৃভাষা দিবস পালনের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ভারতীয় এক গণমাধ্যমকে।
করাচি বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগের সভাপতি অধ্যাপক মোহাম্মদ আবু তৈয়ব খান করাচি বিশ্ববিদ্যালয়ে আর্ন্তজাতিক মাতৃভাষা দিবস পালনের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ভারতীয় এক গণমাধ্যমকে।
১৯৫২ সালে তৎকালীন পাকিস্তানে বাংলাকে রাষ্ট্রভাষার মর্যাদা দেওয়ার দাবিতে রক্ত দিয়েছে অনেক ভাষা শহীদ। সেদিন উর্দুর মাধ্যমে বাংলা ভাষাকে দমিয়ে রাখার চেষ্টা করেছিল পাকিস্তানের তৎকালীন শাসকগোষ্ঠী। কিন্তু এই বাংলা ভাষা প্রতিষ্ঠার আন্দোলনের সফলতার ফলে আজ স্বয়ং পাকিস্তানও পালন করছে ‘আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস’।
করাচি বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগের সভাপতি অধ্যাপক মোহাম্মদ আবু তৈয়ব খান করাচি বিশ্ববিদ্যালয়ে আর্ন্তজাতিক মাতৃভাষা দিবস পালনের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ভারতীয় এক গণমাধ্যমকে।
করাচির সাংবাদিক মনির আহমেদ বিবিসি বাংলাকে বলছেন, কাগজে কলমে ভালোভাবেই ২১শে ফেব্রুয়ারি 'আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস' হিসেবে উদযাপন করা হয় পাকিস্তানে। করাচি, ইসলামাবাদ ও লাহোরের মত শহরে ঘটা করেই পালন করা হয়। এ নিয়ে কিছু সেমিনার আয়োজন করা হয়। কয়েকটি বিশ্ববিদ্যালয়ে কিছু আলোচনাও হয়। প্রভাত ফেরীর আয়োজনও দেখা যায় কোন কোন ক্ষেত্রে। ২০১৭ সালের ফেব্রুয়ারির ১৮ ও ১৯ তারিখে একটি সাহিত্য উৎসব করা হয়েছিল পাকিস্তানে।
ওই সাংবাদিক বলেন, কী ঘটেছিল ১৯৫২ সালের সেই দিনটিতে আর কেনইবা ২১শে ফেব্রুয়ারিকে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস হিসেবে পালন করা হয় সে ব্যাপারে পাকিস্তানের সাধারণ মানুষের তেমন কোন ধারণা নেই বললেই চলে। একই সঙ্গে স্কুল কলেজের ছাত্র-ছাত্রীদেরও এ নিয়ে স্বচ্ছ ধারণা নেই ।
উল্লেখ্য, ১৯৯৯ সালের ১৭ নভেম্বর ইউনেসকোর ঐতিহাসিক এক অধিবেশনে ২১ ফেব্রুয়ারি লাভ করে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসের মর্যাদা। ১৯৯৯ সালের ২১ ফেব্রুয়ারির আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসের মর্যাদা লাভের মাধ্যমে শুধু বাংলা ভাষার বিশ্ববিজয় নয় বরং পৃথিবীর সব মাতৃভাষার বিজয় হয়।