সাউথইস্ট ইউনিভার্সিটিকেও ১০ লাখ টাকা জরিমানা

বেসরকারি সিটি ইউনিভার্সিটির পর এবার সাউথইস্ট ইউনিভার্সিটিকে ১০ লাখ টাকা জরিমানা করেছে সর্বোচ্চ আদালত।

বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের (ইউজিসি) নির্দেশনা না মেনে আইন বিভাগে ৫০ জনের বেশি শিক্ষার্থী ভর্তি করায় এই জরিমান করা হয়। সিটি ইউনিভার্সিটিকেও বুধবার একই অপরাধে ১০ লাখ টাকা জরিমানা করেন আদালত। 

সাউথইস্ট বিশ্ববিদ্যালয় ট্রাস্টের চেয়ারম্যান মো. রেজাউল করিম এবং উপাচার্য অধ্যাপক আনোয়ার হোসেন আদালতের তলবে বৃহস্পতিবার সুপ্রিম কোর্টে হাজির হলে তাদের উপস্থিতিতে প্রধান বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেনের নেতৃত্বাধীন সাত বিচারকের আপিল বেঞ্চ এই আদেশ দেয়।

আদালত বলেছে, জরিমানার ওই অর্থ বাংলাদেশ বার কাউন্সিলে জমা দিতে হবে। সেই রশিদ দেখালে সাউথইস্ট ইউনিভার্সিটির আইন বিভাগের ৮৬ শিক্ষার্থীদের আগামী ২৮ ফেব্রুয়ারি বার কাউন্সিল পরীক্ষায় অংশ নেয়ার সুযোগ দেয়া হবে।

আদালতে বার কাউন্সিলের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী এ ওয়াই মশিউজ্জামান ও এসএম কফিল উদ্দিন। আর শিক্ষার্থীদের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী আশীক আল জলিল।

২০১৪ সালের ২৩ এপ্রিল ইউজিসির জারি করা এক নির্দেশনায় বলা হয়, কোনো বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় আইন বিভাগে প্রতি সেমিস্টারে ৫০ জনের বেশি শিক্ষার্থী ভর্তি নিতে পারবে না।

ইউজিসির নির্দেশনার বিষয়টি জানিয়ে ২০১৯ সালের ১ অক্টোবর বার কাউন্সিল এক নোটিসে জানায়, কোনো বেসরকারি বিশ্বাবদ্যালয় প্রতি সেমিস্টারে ৫০ জনের বেশি শিক্ষার্থী ভর্তি নিলে নিবন্ধন দেয়া হবে না।

এরপর ১১টি বিশ্ববিদ্যালয়ের দুই হাজার শিক্ষার্থী বিভিন্ন সময়ে বার কাউন্সিলের সিদ্ধান্ত চ্যালেঞ্জ করে রিট আবেদন করেন। সেসব আবেদনে হাই কোর্ট বিভিন্ন সময়ে রুল জারি করে এবং তাদের পরীক্ষা দেয়ার অনুমতি দেয়।

সাউথইস্ট ইউনিভার্সিটির ৮৬ শিক্ষার্থীর করা রিটে হাই কোর্ট আইনজীবী হিসেবে তাদের তালিকাভুক্তি পরীক্ষায় অংশগ্রহণের জন্য নিবন্ধন ও ফরম পূরণের সুযোগ দিতে বার কাউন্সিলকে নির্দেশ দেয়।

এর বিরুদ্ধে বার কাউন্সিল আপিল বিভাগে লিভ টু আপিল করলে করলে আদালত সাউথইস্ট ইউনিভার্সিটির চেয়ারম্যান ও উপাচার্যকে তলব করে।

সে অনুযায়ী বৃহস্পতিবার সকালে উপস্থিত হয়ে তারা ভুল স্বীকার করলে সর্বোচ্চ আদালত ১০ লাখ টাকা জরিমানা করে আদেশ দেন।

এদিকে একই কারণে চট্টগ্রামের ইন্টারনেশনাল ইসলামিক ইউনিভার্সিটি ও সিলেটের মেট্রোপলিটন ইউনিভার্সিটির উপাচার্যকে তলব করেছে আপিল বিভাগ।

এ দুই ইউনিভার্সিটির পক্ষে আদালতে শুনানি করে আইনজীবী জয়নুল আবেদীন ও সগির হোসেন লিয়ন।

জয়নুল আবেদীন আদালতে বলেন, “আগামী ২৮ ফেব্রুয়ারি পরীক্ষা। আমরা জরিমানা দিতে রাজি আছি। আমাদের জরিমানা করেন।”   

কিন্তু আদালত জরিমানা না করে রোববার উপাচার্যদের তলব করেছে বলে জানান আইনজীবী সগির হোসেন লিয়ন।