বুধবার দুদকের প্রধান কার্যালয়ে পূর্ণাঙ্গ কমিশনের অনির্ধারিত জরুরি সভায় এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
বুধবার দুদকের প্রধান কার্যালয়ে পূর্ণাঙ্গ কমিশনের অনির্ধারিত জরুরি সভায় এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
এখন থেকে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) সরকারের বিভিন্ন মন্ত্রণালয়, বিভাগ ও সংস্থায় দুর্নীতি প্রতিরোধে যেসব সুপারিশ পাঠিয়েছে, তার বাস্তবায়ন ফলো আপ করবে বলে জানিয়েছেন সংস্থাটি।
বুধবার দুদকের প্রধান কার্যালয়ে পূর্ণাঙ্গ কমিশনের অনির্ধারিত জরুরি সভায় এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
এ প্রসঙ্গে সভার শুরুতেই দুদক চেয়ারম্যান ইকবাল মাহমুদ বলেন, কমিশন কর্তৃক বাস্তবায়িত গণশুনানির ওপর করা এক গবেষণা প্রতিবেদনে জানা গেছে ফলো আপ গণশুনানি বাস্তবায়ন করায় গণশুনানি এখন দুর্নীতি প্রতিরোধের একটি অন্যতম কার্যকর উপায় হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে। ফলো আপ কার্যক্রম শুরু করার আগে যেসব গণশুনানি হয়েছে তা ততটা কার্যকর হয়নি। ফলো আপ গণশুনানি বাস্তবায়ন করার মাধ্যমেই এই কর্মসূচি ফলপ্রসু হয়েছে।
তিনি বলেন, কমিশন দুদক আইন অনুসারে বিগত চার বছর নিয়মিতভাবে রাষ্ট্রপতির মাধ্যমে সরকারের নিকট কমিশনের বার্ষিক প্রতিবেদনে দুর্নীতি অনিয়ম প্রতিরোধে সরকারের বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের বিষয়ে সুপারিশ করছে। এছাড়া সরকারের বিভিন্ন মন্ত্রণালয়, বিভাগ ও সংস্থায় বিদ্যমান দুর্নীতির সম্ভাব্য উৎস চিহ্নিত করে তা বন্ধে বহুমাত্রিক সুপারিশ পাঠানো হচ্ছে। কখনও কখনও বিভিন্ন অনিয়ম চিহ্নিত করে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় বা বিভাগে বিধি মোতাবেক ব্যবস্থা গ্রহণের অনুরোধ জানানো হয়েছে।
ইকবাল মাহমুদ বলেন, দুদক কর্তৃক গঠিত বিভিন্ন প্রাতিষ্ঠানিক টিমের প্রতিবেদন, বার্ষিক প্রতিবেদন সন্নিবেশিত সুপারিশ, দুর্নীতি প্রতিরোধে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগসহ বিভিন্ন মন্ত্রণালয় ও বিভাগে যেসব প্রতিবেদন, পত্র পাঠানো হচ্ছে তা বাস্তবায়নে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের সঙ্গে দুদকের একজন মহাপরিচালক পদমর্যাদার কর্মকর্তা নিয়মতি যোগাযোগ করবেন এবং বাস্তবায়ন কার্যক্রমের অগ্রগতি কমিশনকে রিপোর্ট আকারে অবহিত করবেন।
তিনি আরও বলেন, সাধারণত কমিশনের অভিজ্ঞ কর্মকর্তারা সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানের বিদ্যমান আইন, বিধি-বিধান, পরিচালন পদ্ধতি, সরকারি অর্থ অপচয়ের দিকসমূহ পর্যবেক্ষণ ও বিশ্লেষণ করে ওই প্রতিষ্ঠানের সীমাবদ্ধতা, প্রতিবন্ধকতা, দুর্নীতির সম্ভাব্য উৎস ও তা প্রতিরোধের নিমিত্তে বাস্তবায়নযোগ্য সুপারিশ প্রণয়ন করেন। কমিশন সর্বোচ্চ শ্রম ও মেধা দিয়ে এসব প্রতিবেদন পর্যালোচনা করে অনুমোদন দেয়। দুর্নীতি প্রতিরোধে এসব রিপোর্টের সুপারিশ বাস্তবায়ন গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারে। কিন্তু এগুলো সঠিকভাবে বাস্তবায়ন হচ্ছে কি না তার সঠিক চিত্র আমাদের কাছে নেই। হয়তো কিছু কিছু বাস্তবায়ন হচ্ছে আবার কিছু কিছু হয়তো হচ্ছে না। তাই এগুলো বাস্তবায়নে সমন্বিত উদ্যোগ গ্রহণ করা হবে।
দুদক সচিবের নেতৃত্বে একটি টিম গঠনের অনুরোধ জানিয়ে তিনি বলেন, এই টিম এক মাসের মধ্যে বিগত চার বছরে বিভিন্ন মন্ত্রণালয় ও বিভাগে যেসব পত্র বা সুপারিশ পাঠিয়েছে তার একটি পূর্ণাঙ্গ ডাটাবেজ কমিশনের উপস্থাপন করবে।
সভায় অন্যন্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন দুদক কমিশনার ড. মো. মোজাম্মেল হক খান, কমিশনার এ এফ এম আমিনুল ইসলাম, সচিব মুহাম্মদ দিলোয়র বখ্ত প্রমুখ।