মাত্র একদিন আগেই শিরোনামে আসা একটি খবর চমকে দিয়েছিল গোটা ভারতকে। গুজরাটের একটি মহিলা কলেজের ৬৬ জন ছাত্রীকে অন্তর্বাস খুলে প্রমাণ দিতে হয়েছে তাঁরা ঋতুমতী কিনা। একদিনের মধ্যেই ফের বিতর্কিত মন্তব্য করলেন গুজরাতের শ্রীস্বামী নারায়ণ ভুজ মন্দিরের স্বামী ক্রুষ্ণাস্বরূপ দাসজি। তিনি বলেন, “ঋতুমতী নারীরা স্বামীর জন্য রান্না করলে পরজন্মে তাঁরা কুকুর হয়ে জন্মাবেন।”
সম্প্রতি সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়েছে স্বামী ক্রুষ্ণাস্বরূপ দাসজির ভাষণের একটি ভিডিও। তাতে স্বামীজিকে গুজরাটি ভাষায় বলতে শোনা যায়, “মাসিক চলাকালীন কোনো স্ত্রীর রান্না করা খাবার যদি স্বামী খায় সে পরের জন্মে ষাঁড় হয়ে জন্মাবে। আর সেই স্ত্রী হবে কুকুর।”
পাশাপাশি ‘ওই দিনগুলি’তে স্বামীদের নিজে রান্না করে খাওয়ার পরামর্শ দিতে শোনা যায় স্বামী ক্রুষ্ণাস্বরূপকে। তার বার্তা, “এজন্য বিয়ের আগে পুরুষদের রান্না শিখে নেয়া দরকার।”
একদিন আগেই খবরে এসেছে শ্রী সহজানন্দ গার্লস ইনস্টিটিউটের ভয়াবহ ঘটনা। ঘটনাচক্রে, এই প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে জড়িত স্বামী ক্রুষ্ণাস্বরূপ দাসজি। ঘটনায় গ্রেপ্তার হয়েছেন প্রতিষ্ঠানের অধ্যক্ষ, রেক্টর-সহ চারজন।
উল্লেখ্য, কলেজের হোস্টেলের নিয়ম অনুযায়ী, ঋতুস্রাব চলাকালীন কোনো ছাত্রী হোস্টেলে বাস করতে পারবে না। আর সেই নিয়ম ভাঙা হচ্ছে কিনা তা খতিয়ে দেখতেই ছাত্রীদের পোশাক খুলে পরীক্ষা করেন তারা। যদিও কচ্ছ (পশ্চিম) পুলিশ সুপার ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসকে বলেন, “আমাদের থানার একটি মহিলা পুলিশের দল সেখানে গিয়েছিলেন। তাদের সঙ্গে একজন মহিলা কাউন্সেলরও ছিলেন। কাউন্সেলিংয়ের পর, এক শিক্ষার্থী অভিযোগ দায়ের করেছিলেন যে তাদের অন্তর্বাস খুলতে বলার পাশাপাশি ক্ষমা চেয়ে একটি আবেদনপত্রও লিখতে বলা হয়েছিল। সেই অভিযোগের ভিত্তিতে আমরা অধ্যক্ষ এবং অন্যদের ভারতীয় দণ্ডবিধির ৩৫৪-এ (যৌন হয়রানি), ৩৮৪ (চাঁদাবাজি), ৫০৬ (২) (ফৌজদারি ভয় দেখানো) ইত্যাদির অধীনে আটক করেছি।”