বৃহস্পতিবার দুপুরে গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়া উপজেলা আওয়ামী লীগের ত্রি-বার্ষিক সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
বৃহস্পতিবার দুপুরে গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়া উপজেলা আওয়ামী লীগের ত্রি-বার্ষিক সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, দুর্নীতির দুই মামলায় সাজা পেয়ে কারাবন্দি বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার প্যারোলে মুক্তি চেয়ে তার পরিবারের পক্ষ থেকে বিভিন্নভাবে আবেদন এসেছে তবে লিখিত আবেদন করা না হলে এবং তা যুক্তিসঙ্গত না হলে সরকার বিবেচনা করবে না।
বৃহস্পতিবার দুপুরে গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়া উপজেলা আওয়ামী লীগের ত্রি-বার্ষিক সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
ওবায়দুল কাদের বলেন, 'খালদা জিয়াকে প্যারোলে মুক্তি দেওয়ার জন্য পরিবার থেকে বিভিন্নভাবে আবেদন এসেছে। তারা টিভির পর্দায় আবেদন করেন। আমি বৃহস্পতিবার সকালেও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর কাছে খবর নিয়েছি। লিখিত কোনো আবেদন আসেনি। এখন লিখিত আবেদন এলেও তা কারণসহ যুক্তিসঙ্গত হতে হবে। যুক্তিযুক্ত কারণ ছাড়া স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীও প্যারোল বিবেচনা করতে পারেন না। সরকারও বিবেচনা করতে পারে না।'
খালেদা জিয়ার স্বাস্থ্য নিয়ে বিএনপি নেতাকর্মীরা রাজনীতি করছে- এমন অভিযোগ করে তিনি বলেন, 'বেগম জিয়ার স্বাস্থ্য সম্পর্কে দলের (বিএনপি) লোকেরা বলেন এক কথা, চিকিৎসকরা বলেন আরেকটা। চিকিৎসকরা বলেন, তার স্বাস্থ্য নিয়ন্ত্রণে আছে। আর দলের লোকরা তাকে অসুস্থ বানিয়েছেন। তারা যতটা না তার চিকিৎসা নিয়ে ভাবছেন, তারচেয়ে বেশি রাজনীতি করছেন।'
বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের সমালোচনা করে ওবায়দুল কাদের বলেন, 'বেগম জিয়াকে জেলের মধ্যে মেরে ফেলবে- এমন রাজনীতি বঙ্গবন্ধু করেন নাই। তার কন্যা শেখ হাসিনাও করেন না। তাকে (খালেদা জিয়া) কষ্ট দিয়ে মারার ইচ্ছা শেখ হাসিনার নেই। আমরা প্রতিহিংসার রাজনীতি করি না। খালেদা জিয়াকে জেলে নিয়েছে আদালত। তার বিরুদ্ধে তত্ত্বাবধায়ক সরকার দুর্নীতির মামলা দিয়েছে। আদালত এ মামলার বিচার করছে। তার মুক্তির বিষয়টি সম্পূর্ণ আদালতের এখতিয়ার। সরকার এটি বিবেচনা করতে পারে না। বেগম জিয়ার বিরুদ্ধে রাজনৈতিক মামলায় নেই। রাজনৈতিক মামলা থাকলে, সরকার তাকে প্যারোলে মুক্তির বিষয়টি বিবেচনা করতে পারতো।'
সেতুমন্ত্রী বলেন, 'পঁচাত্তরে বঙ্গবন্ধুকে হত্যার পর ২১ বছর এদেশে জয়বাংলা, মুক্তিযুদ্ধ, মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ও বঙ্গবন্ধু নিষিদ্ধ ছিল। দেশ পাকিস্তানি ভাবধারায় ফিরে গিয়েছিল। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দেশকে মুক্তিযুদ্ধের ধারায় ফিরিয়ে এনেছেন। তিনি সারাদেশে অভূততপূর্ব উন্নয়ন করেছেন। এ উন্নয়নে সারা বিশ্বে তিনি তাক লাগিয়ে দিয়েছেন। প্রবৃদ্ধিতে বাংলাদেশ এখন এশিয়ার মধ্যে সর্বোচ্চ স্থানে। আমরা মুক্তিযুদ্ধের মূলধারায় বঙ্গবন্ধুর কন্যা শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশকে এগিয়ে নিয়ে যাব। আর কোনো অন্ধকারের অপশক্তিকে ক্ষমতার মঞ্চে আসতে দেওয়া হবে না।'
টুঙ্গিপাড়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সম্মেলনের প্রথমপর্বে বিশেষ অতিথির বক্তব্য দেন আওয়ামী লীগের উপদেষ্টামণ্ডলীর সদস্য কাজী আকরাম উদ্দিন আহমদ, শেখ হেলাল উদ্দিন এমপি, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাসিম, ধর্ম প্রতিমন্ত্রী শেখ মোহাম্মদ আব্দুল্লাহ, শেখ সালাহউদ্দিন জুয়েল এমপি, সাংগঠনিক সম্পাদক মির্জা আজম ও এস এম কামাল হোসেন।
সম্মেলনের দ্বিতীয় পর্বে টুঙ্গিপাড়া উপজেলা আওয়ামী লীগের নতুন কমিটির সভাপতি হিসেবে শেখ আবুল বশার খায়ের ও সাধারণ সম্পাদক হিসেবে মো. বাবুল শেখের নাম ঘোষণা করেন দলের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের। এরপর তিনি টুঙ্গিপাড়া পৌর আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক হিসেবে যথাক্রমে শেখ সাইফুল ইসলাম ও ফোরকান বিশ্বাসের নাম ঘোষণা করেন।