র্যানকন জানিয়েছে পার্ল মিরা রেড, মেটালিক গ্রে ও গ্লাস স্পার্কেল ব্ল্যাক এই তিন রঙে পাওয়া যাবে মোটরসাইকেলটি। বাংলাদেশের বাজারে এর দাম নির্ধারণ করা হয়েছে এক লক্ষ নয় হাজার ৯৫০ টাকা।
র্যানকন জানিয়েছে পার্ল মিরা রেড, মেটালিক গ্রে ও গ্লাস স্পার্কেল ব্ল্যাক এই তিন রঙে পাওয়া যাবে মোটরসাইকেলটি। বাংলাদেশের বাজারে এর দাম নির্ধারণ করা হয়েছে এক লক্ষ নয় হাজার ৯৫০ টাকা।
বাংলাদেশের বাজারে নতুন মোটরসাইকেল এনেছে জাপান ভিত্তিক মোটরসাইকেল কোম্পানি সুজুকি মটরস এর দেশীয় বিক্রয় প্রতিনিধি র্যানকন মোটরবাইকস লিমিটেড।
সম্প্রতি তারা আনুষ্ঠানিকভাবে ঘোষণা দিয়ে বাজারে ছেড়েছে সুজুকি হায়াতে ইপি (ইকো পারফরমেন্স) মোটরসাইকেলটি। সুজুকির কমিউটার সেগমেন্টে এর আগের ভার্সনটি ছিলো সুজুকি হায়াতে। প্রাত্যহিক যাতায়াতে বহুল ব্যবহৃত এই মোটরসাইকেলটিকে সুজুকি আরো অত্যাধুনিক প্রযুক্তি এবং নজরকাড়া ডিজাইন দিয়ে নতুন করে বাজারে ছেড়েছে।
সুজুকি জানিয়েছে হায়াতে ইপি আগের হায়াতের তুলনায় অধিক মাইলেজ সাশ্রয়ী এবং আধুনিক।
র্যানকন জানিয়েছে দীর্ঘ সময় ধরে অতি সুনামের সাথে সুজুকি হায়াতে অধিক মাইলেজের নিশ্চয়তা দিয়ে ক্রেতাদের মন জয় করে আসছে। বন্ধুর মতো হাজারো মানুষের পাশে থেকে এই বাইকটি তাদের প্রয়োজন মিটিয়েছে। তাই গ্রাহকদের পরামর্শে, তাদের চাহিদা এবং আধুনিকায়নের কথা মাথায় রেখে, হায়াতে ইপি বাজারে এনেছে সুজুকি।
হায়াতে ইপি ১১৩ সিসি ফোর স্ট্রোক একক সিলিন্ডার বিশিষ্ট ইঞ্জিন সম্বলিত একটি মোটরসাইকেল। ইঞ্জিনটিতে ব্যবহার করা হয়েছে সুজুকি ইকো পারফরমেন্স (এসইপি) এবং এয়ার কুলিং টেকনলজি। এসইপি টেকলজির কারণে হায়াতে ইপি আগের চেয়েও অধিক মাইলেজ সাশ্রয়ী হবে। সেইসাথে গতিও বাড়বে। সামনের এবং পিছনের চাকাও আগের হায়াতের তুলনায় চওড়া দেয়া হয়েছে। যার ফলে কন্ট্রোলিং এবং ব্যালেন্স হবে অসাধারণ। ইলেক্ট্রিক ও কিক উভয় পদ্ধতিতেই মোটরসাইকেলটি চালু করা যাবে।
হায়াতে ইপি আগের হায়াতে থেকে কিছুটা ভিন্ন। এর আকৃতি প্রায় একই থাকলেও ডিজাইন, ফিচার এবং ওজনে পরিবর্তন আনা হয়েছে। মোটরসাইকেলটি আগের তুলনায় কিছুটা লম্বা করা হয়েছে। ফুয়েল ট্যাংক এর গ্রাফিক্স পরিবর্তন করা হয়েছে। আকৃতি করা হয়েছে আগের তুলনায় আরো এরোডায়নামিক। আগের হায়াতের তুলনায় হায়াতে ইপির ওজন প্রায় ৫ কেজি কমিয়ে ১০৭ কেজি করা হয়েছে। সুজুকির দাবি এর লম্বা সিট রাইডারকে দিবে আরামদায়ক ভ্রমণের নিশ্চয়তা।
মোটরসাইকেলটির জ্বালানী ধারণক্ষমতা দশ লিটার। সুজুকি দাবি করছে প্রতি লিটার অকটেনে এটি প্রায় ৭০ কিলোমিটার পথ পাড়ি দিতে পারবে এবং চার গিয়ার সম্বলিত এই মোটরসাইকেলটি ঘন্টায় ১০০ কিলোমিটার গতি তুলতে সক্ষম।
র্যানকন জানিয়েছে পার্ল মিরা রেড, মেটালিক গ্রে ও গ্লাস স্পার্কেল ব্ল্যাক এই তিন রঙে পাওয়া যাবে মোটরসাইকেলটি। বাংলাদেশের বাজারে এর দাম নির্ধারণ করা হয়েছে এক লক্ষ নয় হাজার ৯৫০ টাকা। দেশের সকল সুজুকি মোটরসাইকেল বিক্রয়কেন্দ্রে মোটরসাইকেলটি পাওয়া যাবে।