একই সঙ্গে জরুরি প্রয়োজন ছাড়া কর্মীদের চীন ভ্রমণের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুক। প্রতিষ্ঠানটির কর্মীদের ভয়াবহ ওই ভাইরাসের প্রকোপ থেকে রক্ষা করতে এমন পদক্ষেপ নিয়েছে ফেসবুক।
একই সঙ্গে জরুরি প্রয়োজন ছাড়া কর্মীদের চীন ভ্রমণের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুক। প্রতিষ্ঠানটির কর্মীদের ভয়াবহ ওই ভাইরাসের প্রকোপ থেকে রক্ষা করতে এমন পদক্ষেপ নিয়েছে ফেসবুক।
প্রাণঘাতী করোনাভাইরাসের বিস্তার ঠেকাতে একের পর এক চীনে নিজেদের কার্যক্রম সাময়িক স্থগিত রাখছে প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠানগুলো। অ্যামাজন, মাইক্রোফট ও অ্যাপলের পর এবার চীন, হং কং এবং তাইওয়ান কার্যালয় বন্ধ করছে সার্চ ইঞ্জিন জায়ান্ট গুগল। এছাড়াও চলতি সপ্তাহের শুরুতে প্রথম বড় প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠান হিসেবে চীন ভ্রমণ এড়িয়ে চলার নির্দেশ দেয় সামাজিক মাধ্যম জায়ান্ট ফেসবুক।
করোনাভাইরাস ছড়িয়ে পড়ার পর দেশটিতে সাময়িক সময়ের জন্য সব কার্যালয় বন্ধ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে মার্কিন বহুজাতিক প্রযুক্তি কোম্পানি গুগল। চীনের মূল ভূখণ্ড, হংকং এবং তাইওয়ানে অবস্থিত গুগলের সব কার্যালয় বন্ধ করে দেওয়া হবে বলে জানানো হয়েছে। শুধু গুগল নয় আরও অনেক প্রতিষ্ঠানই চীনে তাদের কার্যক্রম গুটিয়ে আনছে সাময়িক সময়ের জন্য। এর আগে চীনে একটি স্টোর বন্ধ করে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেয় যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক বহুজাতিক প্রযুক্তি সংস্থা অ্যাপল।
অ্যাপল জানিয়েছে, চীনে তাদের ভোক্তা সংখ্যা কমে গেছে। লোকজন এখন বাড়ির বাইরে বের হচ্ছে না। এছাড়া কর্মীদের এই ভাইরাসে আক্রান্তের সম্ভাবনা থাকায় তারা স্টোর বন্ধ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। ব্যবসায়িক ক্ষেত্রে ভ্রমণের ক্ষেত্রেও সীমাবদ্ধতা আরোপ করা হয়েছে। উহান এবং চীনের অন্যান্য শহরে যেখানে নিজেদের কর্মীরা রয়েছে তাদের মধ্যে কেয়ার কিট সরবরাহ করছে অ্যাপল।
একই সঙ্গে জরুরি প্রয়োজন ছাড়া কর্মীদের চীন ভ্রমণের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুক। প্রতিষ্ঠানটির কর্মীদের ভয়াবহ ওই ভাইরাসের প্রকোপ থেকে রক্ষা করতে এমন পদক্ষেপ নিয়েছে ফেসবুক।
এদিকে প্রাণঘাতী এই ভাইরাস থেকে বাঁচতে একই ধরনের পদক্ষেপ নিয়েছে মাইক্রোসফট এবং অ্যামাজনের মতো প্রযুক্তি জায়ান্ট প্রতিষ্ঠানগুলোও।
অ্যামাজনের এক মুখপাত্র বলেন, “সুরক্ষার জন্য পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত আমরা চীনে ব্যবসায়িক ভ্রমণ বন্ধ রেখেছি এবং কর্মীদেরকে আন্তর্জাতিক স্বাস্থ্য সংস্থার নির্দেশাবলী মানতে বলেছি।”
গত মাসের শেষ নাগাদ চীনের হুবেই প্রদেশের উহান শহরে এই করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাব ঘটে। পরে গোটা চীনে তা ছড়িয়ে পড়ে। এই ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে চীনে এ পর্যন্ত ১৭০ জন প্রাণ হারিয়েছে। চীনের বাইরে যুক্তরাষ্ট্র ও জাপানসহ অন্যান্য দেশেও ছড়িয়ে পড়েছে এই রোগ।
সূত্র-বিবিসি