নিউজিল্যান্ডের সবচেয়ে সক্রিয় আগ্নেয়গিরির অগ্ন্যুৎপাতে ১৩ জনের মৃত্যুর আশঙ্কা করা হচ্ছে। প্রধানমন্ত্রী জেসিন্ডা আর্ডার্ন এই ঘটনায় গভীর শোক প্রকাশ করেছেন।
সোমবার দেশটির জনপ্রিয় পর্যটন এলাকা হোয়াইট আইল্যান্ডে অগ্ন্যুৎপাত শুরু হয়।
জেসিন্ডা আর্ডার্ন নিশ্চিত করেছেন, আগ্নেয়গিরির অগ্ন্যুৎপাতে পাঁচজনের মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত হওয়া গেছে। অপরদিকে আটজন এখনও নিখোঁজ রয়েছে। তিনি বলেছেন, ওই এলাকায় আর কারো বেঁচে থাকার কোনো সম্ভাবনা নেই।
ওয়াকারি নামেও পরিচিত হোয়াইট আইল্যান্ড। সেখানে দেশটির অন্যতম সক্রিয় আগ্নেয়গিরি অবস্থিত। দেশটির জনপ্রিয় এই দ্বীপটিতে প্রতি বছর বহু দেশ থেকে পর্যটকরা ঘুরতে আসেন।
প্রতি বছর ওই এলাকায় প্রায় ১০ হাজার পর্যটক ঘুরতে যান। প্রায় ৫০ বছর ধরে বেশ কয়েকবার এই আগ্নেয়গিরিতে অগ্ন্যুৎপাতের ঘটনা ঘটেছে। এর আগে ২০১৬ সালে আগ্নেয়গিরিটিতে অগ্ন্যুৎপাত হয়।
সোমবার যখন আগ্নেয়গিরিটি ফুঁসে ওঠে সে সময়ও সেখানে প্রায় ৫০ জন পর্যটক ছিলেন। এখন পর্যন্ত ৩৪ জনকে জীবিত উদ্ধার করা সম্ভব হয়েছে। ৩১ জন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
মঙ্গলবার এক সংবাদ সম্মেলনে জেসিন্ডা আর্ডার্ন বলেন, আগ্নেয়গিরির অগ্ন্যুৎপাতের সময় সেখানে নিউজিল্যান্ড, অস্ট্রেলিয়া, চীন, মালয়েশিয়া, যুক্তরাষ্ট্র এবং যুক্তরাজ্যের পর্যটকরা ছিলেন।
নিখোঁজদের খুঁজে পাওয়ার কোনো আশাই নেই। প্রধানমন্ত্রী জেসিন্ডা আর্ডার্ন বলেন, যারা তাদের পরিবার বা বন্ধুদের হারিয়েছেন আমরা তাদের প্রতি গভীর শোক প্রকাশ করছি।