News Bangladesh

|| নিউজবাংলাদেশ

প্রকাশিত: ১৮:৩০, ১৭ নভেম্বর ২০১৯
আপডেট: ১৩:১৩, ১২ ফেব্রুয়ারি ২০২০

পাবলিক ফান্ড আত্মসাতের আগেই তা রক্ষা সম্ভব: ইকবাল মাহমুদ

পাবলিক ফান্ড আত্মসাতের আগেই তা রক্ষা সম্ভব: ইকবাল মাহমুদ

কোন সরকারি কর্মকর্তা পাবলিক ফান্ড আত্মসাৎ করেছেন অডিটর উদঘাটিত এমন তথ্য দুর্নীতি দমন কমিশনে (দুদক) পাঠানো হলে, তা ঘটনা ঘটার আগেই প্রতিরোধ করে ওই ফান্ড রক্ষা করা সম্ভব বলে জানিয়েছেন সংস্থাটির চেয়ারম্যান ইকবাল মাহমুদ। একই সঙ্গে বলেন, অনিয়ম দুর্নীতি ও অপচয় রোধে দুদক ও কম্পট্রোলার এন্ড অডিটর (সিএজি) মধ্যে সু-সমন্বয় জরুরী।

রোববার রাজধানীর হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টালে বিশ্ব ব্যাংক আয়োজিত “সাউথ এশিয়া একাউন্ট্যাবিলিটি রাউন্ড টেবল : প্রোমটিং একাউন্ট্যাবিলিটি এ্যন্ড ইন্টিগ্রিটি ইন গভার্ণমেন্ট স্পেন্ডিং” শীর্ষক সেমিনারে তিনি এসব কথা বলেন। 

ইকবাল মাহমুদ বলেন, জাতীয় ও আন্তর্জাতিক ক্ষেত্রে উন্নয়ন ও প্রশাসন নিয়ে আলোচিত বিষয় হচ্ছে সুশাসন। এই সুশাসন রাষ্ট্রে একটি আদর্শ সমন্বয়ের পরিবেশ সৃষ্টি করে যা টেকসই উন্নয়ন, সামাজিক ন্যায় বিচার তথা সরকার পরিচালনায় ক্রমাগত দক্ষতার দিকে রাষ্ট্রকে ধাবিত করে।

দুদক ও সিএজি রাষ্ট্রীয় অর্থ ব্যায়ে অনিয়ম, দুর্নীতি ও অপচয় যাতে না ঘটে এ বিষয়ে কাজ করে। তাই এসব প্রতিষ্ঠানের মধ্যে সু-সমন্বয় জরুরী জানিয়ে তিনি বলেন, কোনো সরকারি কর্মকর্তা পাবলিক ফান্ড আত্মসাৎ করেছেন বা আত্মসাতের চেষ্টা করছেন এমন কোনো ঘটনা যদি অডিটর কর্তৃক উদঘাটিত হয়, সেসব তথ্য বিশ্বস্ততার সাথে কমিশনে পাঠানো হলে- কমিশন আইনি প্রক্রিয়ায় তা অনুসন্ধান করে ঘটনা ঘটার আগেই প্রতিরোধ করে পাবলিক ফান্ড আত্মসাৎ থেকে রক্ষা সম্ভব।

আরও বলেন, সিএজি কর্মকর্তারা পোস্ট অডিটের মাধ্যমে যেসব দুর্নীতির ঘটনা উদঘাটিত করেন এবং সেই রিপোর্টটি কমিশনে পাঠালে কমিশন তা তদন্ত করে দ্রুত ব্যবস্থা গ্রহণ করেও দুর্নীতি প্রতিরোধ করতে পারে। প্রয়োজনে দুর্নীতিপ্রবণ সরকারি দপ্তরসমূহে দুদক এবং সিএজি যৌথ টাস্কফোর্সের মাধ্যমে একসঙ্গে প্রি এবং পোস্ট অডিটের মাধ্যমে সম্ভাব্য দুর্নীতি প্রতিরোধ করতে পারে। 

এই দুটি প্রতিষ্ঠান নিজেদের বার্ষিক প্রতিবেদন শেয়ার করার মাধ্যমেও পাবলিক ফান্ডের ব্যয় ব্যবস্থাপনায় যেসব অব্যবস্থাপনা রয়েছে তা চিহ্নিত করে দুর্নীতি প্রতিরোধে একত্রে কাজ করতে পারে। দুদক ও  সিএজি দপ্তর যৌথভাবে সরকারি ক্রয় এবং ব্যয়ের ক্ষেত্রে বিশেষ করে মেগা প্রকল্পের ঝুঁকি নিরুপণ করতে পারে। এই প্রতিষ্ঠান দুইটি যৌথভাবে উত্তম চর্চার ভালো উদাহরণগুলো মানুষের মাঝে ছড়িয়ে দিতে পারে। এসব প্রতিষ্ঠানের মধ্যে যথাযথ সমন্বয় এবং সমন্বিত উদ্যোগই পারে পাবলিক ফান্ড অপচয়ের পথকে রুদ্ধ করতে।

সেমিনারে প্রধান অতিথি ছিলেন জাতীয় সংসদের মাননীয় স্পীকার ড. শিরীন শারমীন চৌধুরী । বক্তব্য রাখেন কম্পট্রোলার এন্ড অডিটর জেনারেল মোহাম্মদ মুসলিম চৌধুরী প্রমুখ।

নিউজবাংলাদেশ.কম/এমএজেড/পিআর

সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়