News Bangladesh

|| নিউজবাংলাদেশ

প্রকাশিত: ২২:২৩, ২ নভেম্বর ২০১৯
আপডেট: ০১:৫৬, ১ মার্চ ২০২০

নাটোরে স্ত্রীকে হত্যার অভিযোগ পুলিশ সদস্যের বিরুদ্ধে

নাটোরে স্ত্রীকে হত্যার অভিযোগ পুলিশ সদস্যের বিরুদ্ধে

নাটোরের বড়াইগ্রামে যৌতুক না দেয়ায় স্ত্রীকে হত্যার অভিযোগ উঠেছে মনিরুল ইসলাম (২৬) নামে এক পুলিশ সদস্যের বিরুদ্ধে। মনিরুল উপজেলার বাটরা গোপালপুর গ্রামের শাজাহান আলীর ছেলে এবং নিহত তাসলিমা খাতুন (২০) জোয়াড়ি গ্রামের আবুল কাশেমের মেয়ে।

শনিবার পুলিশ লাশ উদ্ধার করে মর্গে পাঠিয়েছে। মনিরুল বর্তমানে চাঁপাইনবাবগঞ্জ পুলিশ লাইনে কর্মরত আছেন।

নিহতের পরিবার সূত্রে জানা গেছে, এক বছর দুই মাস আগে মনিরুলের সঙ্গে তাসলিমার বিয়ে হয়। বিয়ের পর তাসলিমা স্বামীর সঙ্গে চাঁপাইনবাবগঞ্জে ভাড়া বাসায় থাকত। তখন থেকে মনিরুল তার স্ত্রীকে বাবার বাড়ি থেকে ২ লাখ টাকা যৌতুক এনে দিতে বলে। কিন্তু তাসলিমা তাতে রাজী হয়নি।

নিহতের বড় ভাই রবিউল ইসলাম জানান, গত ২৪ আগস্ট মনিরুল যৌতুকের জন্য তাসলিমাকে বাবার বাড়িতে রেখে যায়। এর দুদিন আগে কৌশলে সে তার গর্ভবতী স্ত্রীর গর্ভপাত ঘটায়। গত ১০ সেপ্টেম্বর সকালে মনিরুল পুনরায় শ্বশুরবাড়িতে এসে তাসলিমাকে টাকার জন্য চাপ দেয়। এ সময় বাড়ির সদস্যদের অনুপস্থিতির সুযোগে বাক-বিতণ্ডার একপর্যায়ে তাসলিমাকে পিটিয়ে গলায় রশি দিয়ে শ্বাসরোধে হত্যার চেষ্টা চালায় সে।

পরে তাসলিমা মারা গেছে ভেবে মনিরুল গ্রিলবিহীন জানালার কপাট খুলে পালিয়ে যায়। পরে স্বজনেরা বাড়ি এসে তাসলিমাকে অচেতন অবস্থায় উদ্ধার করে প্রথমে স্থানীয় ক্লিনিকে এবং পরে সিরাজগঞ্জের খাজা ইউনুস আলী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করে। সেখানে ৫২ দিন চিকিৎসাধীন থাকার পর শনিবার ভোরে তাসলিমা মারা যায়।

এ ব্যাপারে পুলিশ কনস্টেবল মনিরুল ইসলামের সঙ্গে মোবাইলে কথা বললে তিনি জানান, আমার স্ত্রী মারা গেছে বলে আমি শুনেছি। তবে আমার বিরুদ্ধে হত্যার অভিযোগ সঠিক নয়।

নাটোরের সহকারী পুলিশ সুপার ফাতেমা-তুজ-জোহরা জানান, আমি ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছি। এ ব্যাপারে তদন্তসাপেক্ষে যথাযথ আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

নিউজবাংলাদেশ.কম/ডি

সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়