বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) শিক্ষার্থী আবরার ফাহাদের হত্যা মামলায় বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের আইনবিষয়ক উপ-সম্পাদক ও পুরকৌশল বিভাগের ছাত্র অমিত সাহাকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) শিক্ষার্থী আবরার ফাহাদের হত্যা মামলায় বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের আইনবিষয়ক উপ-সম্পাদক ও পুরকৌশল বিভাগের ছাত্র অমিত সাহাকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) শিক্ষার্থী আবরার ফাহাদ হত্যার পরিকল্পনাকারী বুয়েটের ছাত্রলীগ নেতা অমিত সাহা ও বুয়েট শিক্ষার্থী মিজান গ্রেপ্তার।
বৃহস্পতিবার সকালে তাদেরকে গ্রেপ্তার করা হয়। আবরারকে হত্যার পরিকল্পনা করা হয় একদিন আগে একটি সিক্রেট মেসেঞ্জার গ্রুপে।
স্বরাষ্টমন্ত্রী জানন, আবরার হত্যার খুব শিগগিরই দেওয়া হবে মামলার চার্জশিট। তবে হত্যাকাণ্ডে অমিত সাহা জরিত কিনা তা তদন্ত জানা যাবে।
আবরার ফাহাদ হত্যাকাণ্ডের পর বুয়েট ক্যাম্পাসে আলোচনার শীর্ষে আছেন অমিত সাহা। সব ছাত্রছাত্রীর মুখে তার নাম। বুয়েট শাখা ছাত্রলীগের আইনবিষয়ক সম্পাদক তিনি।
আবরার হত্যাকান্ডের পর থেকেই পলাতক ছিলেন তিনি।
আবরার হত্যাকাণ্ডে অমিত সাহা প্রত্যক্ষভাবে জড়িত বলে অভিযোগ করেছেন বুয়েটের শিক্ষার্থীরা। জানা যায়, আবরার ফাহাদ হলে আছেন কিনা সে বিষয়ে প্রথম খোঁজ নিয়েছিলেন বুয়েট শাখা ছাত্রলীগের উপ-আপ্যায়ন সম্পাদক অমিত সাহা। ঘটনার দিন সন্ধ্যায় অমিত সাহা আবরারের এক বন্ধুকে ইংরেজি অক্ষরে 'আবরার ফাহাদ হলে আছে কিনা' মেসেজ দেন।
মেসেজের এক ঘণ্টার মধ্যেই শেরে বাংলা হলের তথাকথিত সিনিয়র ভাইয়েরা অর্থাৎ ছাত্রলীগ নেতারা তাদের সহপাঠীদেরকে আবরারের ১০১১ নম্বর কক্ষে পাঠিয়ে তাকে ২০১১ নম্বর কক্ষে নিয়ে আসার নির্দেশ দেন।