News Bangladesh

|| নিউজবাংলাদেশ

প্রকাশিত: ১০:৪৬, ২৪ সেপ্টেম্বর ২০১৯
আপডেট: ০৫:২২, ১৫ ফেব্রুয়ারি ২০২০

আত্মগোপনে যুবলীগ নেতা সম্রাট

আত্মগোপনে যুবলীগ নেতা সম্রাট

রাজধানীর ক্লাবগুলোতে অবৈধ ক্যাসিনোর সঙ্গে যুবলীগ নেতাদের জড়িত থাকার তথ্য প্রকাশ্যে আসার পর ঢাকা মহানগর দক্ষিণ যুবলীগের সভাপতি ইসমাইল চৌধুরী সম্রাটের খোঁজ মিলছে না কোথাও। কার্যালয়েও তিনি যাচ্ছেন না, বাড়িতেও পাওয়া যাচ্ছে না বলে যুবলীগের কর্মীরা জানিয়েছেন।

ক্যাসিনো বন্ধে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর অভিযানে লাপাত্তা এই যুবলীগ নেতা কোথায়, তা বলতে পারছেন না সংগঠনটির সাধারণ সম্পাদক হারুনুর রশীদও।

গত বুধবার ঢাকার মতিঝিলের ফকিরাপুল ইয়ংমেন্স ও ওয়ান্ডারার্স ক্লাব এবং মুক্তিযোদ্ধা ক্রীড়া চক্রে র‌্যাবের অভিযানে অবৈধ ক্যাসিনো মেলার পাশাপাশি সেগুলো পরিচালনায় যুবলীগ নেতাদের জড়িত থাকার বিষয়টি প্রকাশ পায়।

ওই দিনই গ্রেপ্তার করা হয় যুবলীগের ঢাকা মহানগর দক্ষিণের সাংগঠনিক সম্পাদক খালেদ মাহমুদ ভূঁইয়াকে, পরদিন কলাবাগান ক্লাব থেকে গ্রেপ্তার করা হয় কৃষক লীগের নেতা শফিকুল আলম ফিরোজকে। দুদিন পর গ্রেপ্তার করা হয় ঠিকাদার জিকে শামীমকে, তিনিও যুবলীগ নেতা হিসেবে পরিচয় দিতেন।

সহযোগী সংগঠন যুবলীগের নেতাদের চাঁদাবাজি নিয়ে প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ সভানেত্রী শেখ হাসিনার অসন্তোষ প্রকাশ পাওয়ার পরপরই জুয়ার আখড়া বন্ধে এই অভিযান শুরু হয়।

এই অভিযান চালিয়ে যেতে এবং অপকর্মকারীদের বিরুদ্ধে প্রধানমন্ত্রীর মনোভাব অত্যন্ত কঠোর- এই বার্তা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরের কাছ থেকে আসার পর আত্মগোপনে গেছেন যুবলীগের প্রভাবশালী এই নেতা।

বুধবার অভিযান শুরুর দিন খালেদ ভূঁইয়া গ্রেপ্তার হওয়ার পর সম্রাট সমর্থকদের নিয়ে তার কাকরাইলের কার্যালয়ে অবস্থান নিয়েছিলেন। রাতর সেখানেই ছিলেন তিনি।

এরপর থেকে সম্রাট কার্যালয়ে রয়েছেন বলে গণমাধ্যমে খবর এলেও এখন তিনি সেখানে নেই বলে জানা গেছে। তিনি কোথায় আছেন, তাও কেউ বলতে পারছে না।

সম্রাটের ঘনিষ্ঠ একজন বলেন, “সম্রাট ভাই শনিবার সকাল থেকেই অফিসে আসেন না। কোথায় আছেন, কেউ বলতে পারছেন না।”

বাসায় আছেন কি না- জানতে চাইলে এই যুবলীগ নেতা বলে, “আমরা অফিসে না পেয়ে বাসায় গিয়েছিলাম, ওখানেও ভাই নাই।”

অভিযান শুরুর পর কাকরাইলের কার্যালয়ে অবস্থান নিয়েছিলেন ইসমাইল চৌধুরী সম্রাট। এখন সেখানে তিনি নেই। অভিযানের সময় মুক্তিযোদ্ধা ক্রীড়া চক্রের ভেতরে সম্রাটের বিশাল ছবি দেখা গিয়েছিল। ওই ক্লাবের ক্যাসিনো তিনি চালাতেন বলে অভিযোগ রয়েছে।

মতিঝিলের ক্লাবপাড়ায় যে ক’টি ক্যাসিনো চলছিল, তা থেকেও প্রতিদিন নির্দিষ্ট পরিমাণ চাঁদা সম্রাটের কাছে আসত বলে গণমাধ্যমে খবর বেরিয়েছে।

সম্রাট এছাড়া যুবলীগের অন্য চার নেতাও গা ঢাকা নিয়েছেন বলে মনে করা হচ্ছে। তারা হলেন- যুবলীগের কেন্দ্রীয় কমিটির দপ্তর সম্পাদক কাজী আনিসুর রহমান, মহানগর দক্ষিণ যুবলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মিজানুর রহমান বকুল এবং ঢাকা দক্ষিণ যুবলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও মতিঝিলের ওয়ার্ড কাউন্সিলর মোমিনুল হক সাঈদ।

যুবলীগকর্মীদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, বিভিন্ন ক্লাবে ক্যাসিনো চালানোর সঙ্গে জড়িত থাকায় গ্রেপ্তার এড়াতে গা ঢাকা দিয়েছেন এই নেতারা।

নিউজবাংলাদেশ.কম/ডি

সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়