ইয়াবা ভাগাভাগি : পাঁচ পুলিশ রিমান্ডে
ইয়াবা কারবারির কাছ থেকে ইয়াবা উদ্ধার করে নিজেদের মধ্যে ভাগবাটোয়ারা করার সময় পাঁচ পুলিশ সদস্যকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
সোমবার ওই পাঁচ পুলিশ সদস্যকে ঢাকার মুখ্য মহানগর হাকিম আদালতে হাজির করা হলে তাঁদের রিমান্ডে পাঠানোর নির্দেশ দেন আদালত।
গ্রেপ্তারকৃতদের মধ্যে গুলশান থানার এএসআই মাসুদ আহমেদ মিয়াজী, এপিবিএনের কনস্টেবল প্রশান্ত মণ্ডল ও নায়েক মো. জাহাঙ্গীর আলমকে তিন দিনের এবং এপিবিএনের কনস্টেবল মো. রনি মোল্যা ও মো. শরিফুল ইসলামকে দুই দিনের রিমান্ডে নেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়। গত রবিবার রাতে উত্তরার এপিবিএন-১ সদর দপ্তরের ব্যারাক ভবন থেকে তাঁদের গ্রেপ্তার করে পুলিশ।
জানা যায়, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে রবিবার পুলিশ জানতে পারে উত্তরার এপিবিএন-১ সদর দপ্তরের ব্যারাক ভবনের চতুর্থ তলার বাথরুমের সামনে কয়েকজন পুলিশ সদস্য ইয়াবার ভাগবাটোয়ারা করছেন। তখনই তাদের বিরুদ্ধে অভিযানের সিদ্ধান্ত নেয় এপিবিএন।
ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের অনুমতি নিয়ে একটি টহলদল ঘটনাস্থলে গিয়ে কনস্টেবল প্রশান্ত মণ্ডল, কনস্টেবল রনি মোল্যা ও কনস্টেবল শরিফুল ইসলামকে দেখে তাদের তল্লাশি করে। তখন কনস্টেবল প্রশান্ত মণ্ডলের প্যান্টের পকেট থেকে ১৫৮ পিস এবং ট্রাংক থেকে ৩৯৪ পিস ইয়াবা উদ্ধার করা হয়। তার দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে কনস্টেবল শরিফুলকে ইয়াবা বিক্রির নগদ ১৫ হাজার টাকাসহ গ্রেপ্তার করা হয়। জিজ্ঞাসাবাদে শরিফুল জানান, তিনি কনস্টেবল রনি মোল্যার কাছ থেকে সাড়ে ১৮ হাজার টাকায় ১৫০ পিস ইয়াবা কিনেছেন। পরে রনিকেও গ্রেপ্তার করে পুলিশ।
পুলিশের জিজ্ঞাসাবাদে কনস্টেবল প্রশান্ত আরো জানান, গত ১১ সেপ্টেম্বর সকাল সাড়ে ৬টায় গুলশানের গুদারাঘাট চেকপোস্টে একটি মোটরসাইকেল তল্লাশি করে আরোহীর কাছ থেকে ৩৫০ পিস ইয়াবা উদ্ধার করে গুলশানের এএসআই মাসুদ মিয়াজী ও এপিবিএনের নায়েক জাহাঙ্গীর আলম নিজেদের মধ্যে ভাগবাটোয়ারা করে বিক্রির সিদ্ধান্ত নেন। পরে পুলিশ বাদী হয়ে তাঁদের পাঁচজনের বিরুদ্ধেই ২০১৮ সালের মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনের ৩৬ (১) ও ৪১ ধারায় মামলা করে।
নিউজবাংলাদেশ.কম/ এসপি








